ত্বকের পরিচর্যা হোক কিংবা মেকআপ, রকমারী সামগ্রীর ভিড়ে সঠিক প্রসাধন দ্রব্যটি বেছে নেওয়ার কাজট বেশ কঠিন। তা যদি একবার খুঁজে পান তাহলে তো কেল্লা ফতেহ! কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি সেই সঠিক সামগ্রীর ক্ষমতা ক্ষয় হয়, যেমন আপনার ময়শ্চরাইজার আগের মতো ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগাতে ব্যার্থ হয়। কিংবা নাইট ক্রিম লাগানোর পরও, পরের দিন সকালে মুখের সেই সতেজ ভাব আর আসছে না। তখন ধন্দ বাড়ে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে এটা ভেবে যে এতকাল তো ভালই চলছিল। এখন আবার কী হল? তাই এবার প্রসাধনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাছার আগে বুঝে নিন সমস্য কোথায়।
প্রস্তুতকারকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘ওয়ান সাইজ ফিট টু অল’ ফর্মুলাতেই প্রসাধনের সামগ্রী তৈরি করেন। যেমন ত্বকের ধরণ, আবহাওয়ার ধরণ, কিংবা বয়সের নিরিখে এই রূপচর্চা ও পরিচর্যার সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়। তবে একজন কুড়ি বছরের যুবতি যিনি শুষ্ক আবহাওয়ায় থাকেন তিনি তাঁর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যে সামগ্রী ব্যবহার করে লাভ পাবেন সেই একই বয়সের, একই ত্বকের ধরণে কিন্তু আর্দ্র আবহাওয়ায় থাকেন একই সামগ্রী ব্যবহার করে লাভ পাবেন না।
বয়স বাড়ার কারণই হোক বা জায়গা বদল, তাপমাত্রা, পরিবেশ বদল ও অন্যান্য অনেক কারণেই ত্বকের ধরনে পরিবর্তন আসে। পরিবর্তন অনুযায়ী বদলে যায় ত্বকের চাহিদাও। তাই সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনে বদলাতে হবে আপনার প্রয়োজনীয় প্রসাধনগুলিও। তবে সেই বদল করার আগে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নেওয়াই ভাল।
অধিকাংশ প্রসাধনী সামগ্রীতে প্যারাবেন, এসএলএস, এসএলইএসের মতো রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। এগুলি ত্বকের পরিচর্যায় তুলনায় ক্ষতি করেই বেশি। এই সব সামগ্রী ত্বকের সঠিক পিএইচ লেভেল ধরে রাখতে পারে না। এর ফলে আবহাওয়ার দাপটে ত্বক বা চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাই প্রসাধনী সামগ্রী বাছার আগে কিংবা বদলের আগে, আপনার ত্বকের ধরণ, যে পরিবেশে আছেন সেটা এবং পরবর্তী সময়ে যেখানে যাবেন সেগুলো ভাবনাচিন্তা করেই কাজ করুন। তাই ময়শ্চরাইজার, ক্লেনজার ও অন্যান্য সামগ্রী যেগুলি আপনার ত্বকের সঙ্গে মেলে সেগুলি বেছে নিন। পাশাপাশি এটাও দেখে নিন আপনার পছন্দ করা সামগ্রীতে যাতে কোনও ক্ষতিগ্রস্ত রাসায়নিক না থাকে।