কলকাতা: নয়া মোড় ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের কাজ শুরু করলেও রাজ্য সরকারের অধীনস্থ SIT বা বিশেষ তদন্তকারী দল কোনও কাজ করছে না। বিষয়টি নজরে এসেছে আদালতের। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ভোট রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল যে খুন বা ধর্ষণের মতো বড় ঘটনার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠিত হবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে দুই তদন্তকারী দলকেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন- সপ্তাহান্তে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণে জারি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি
আদালতের নির্দেশ অনুসারে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। অনেক জায়গায় গিয়ে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়া দূরের কথা এখনও গঠন হয়নি সিট। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী কাশীনাথ বিশ্বাস। আদালতের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “এখনও কেন তৈরি হল না রাজ্যের পুলিশকর্তাদের নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি। ঝুলে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিযুক্তকরণের কাজ। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কিভাবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে SIT?”
আরও পড়ুন- উন্নয়নের স্বার্থে মথুরায় মদ-মাংস নিষিদ্ধ করলেন যোগী
ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় মঙ্গলবার। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য শোনা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের গলায়। তিনি বলেছেন, “সিট যে কাজ করছে না সেটা আমরা জানি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
খিংসা কবলিত গ্রামে সিবিআই আধিকারিকরা
অন্যদিকে, ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জামালপুরে নিহত এক বিজেপি(BJP) কর্মীর পরিবারের বাড়িতে গেলেও, গেল না নিহত দুই তৃণমূল(TMC) কর্মীর বাড়িতে। তাহলে কি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন তদন্তকারী সংস্থা কী পক্ষপাতিত্ব করছে? উঠছে প্রশ্ন।