শান্তিনিকেতন: কোনওরকম আলাপ আলোচনায় যেতে রাজি নন উপাচার্য। ছাত্র ছাত্রীদের বহিষ্কার, অধ্যাপক কর্মীদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে ফের অশান্ত শান্তিনিকেতন। উপাচার্যের বাসভবন ‘পূর্বিতা’র বাড়ির সামনের মূল গেটে আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীরা ব্যানার লাগানোর চেষ্টা করে। তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীদের। চূড়ান্ত উত্তেজনা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে। সব মিলিয়ে অশান্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি শান্তিনিকেতন।
বিশ্বভারতী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ও ছাত্র-ছাত্রীদের বহিষ্কার, অধ্যাপক কর্মীদেরকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সকালে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও শ্রমিকদের তরফ থেকে নাগরিক মিছিল করা হয়। মিছিল শুরু হয় শান্তিনিকেতনের দমকল অফিসের সামনে থেকে। সেই মিছিলে এসে পৌঁছয় বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে। সেখানেই ছাত্র ও অধ্যাপক কর্মীদের তরফ থেকে অবস্থান মঞ্চ গড়ে তোলা হয়।
বেশ কয়েক বছর আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি উপাচার্যের আসনে বসার পর থেকেই বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রবীন্দ্রনাথের সাধের শান্তিনিকেতনকে। রবীন্দ্রনাথ জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। বাঙালির প্রিয় জায়গা এই শান্তিনিকেতন। সেই শান্তিনিকেতনেই নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “বহিরাগত”। এ ধরনের বিভিন্ন মন্তব্য করে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা ব্যাঙ্ক কর্মীকে, অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী
এদিন সকাল উপাচার্যের বাস ভবনের মূল গেটে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। কোনওমতেই আলোচনায় যেতে রাজি নন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যতদিন না ছাত্র অধ্যাপক কর্মীদের বহিষ্কার ও সাসপেনশন প্রত্যাহার করছে ততদিন এই আন্দোলন কর্মসূচি চলবে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: জোর করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক