মুম্বই: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে ভারত। যার রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। ভয়ানক অবস্থা দক্ষিণের রাজ্য কেরল এবং পশ্চিমের মহারাষ্ট্রে। এই দুই রাজ্য থেকে দৈনিক ভারতের ৭০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের খবর আসছে। এরই মাঝে প্রকাশ্যে আরও এক উদ্বেগজনক খবর।
একই হোমের আট জন শিশু করোনার আক্রান্ত হয়েছে। রবিবার বৃহঃমুম্বই পুরসভার পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। মুম্বই শহরের পূর্ব মানখ্রুদ এলাকায় অবস্থিত একটি হোমের আট আবাসিক শিশুর শরীরে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। যার জেরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। সংক্রমিতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ভাসি নাকা এলাকার একটি করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সেই সঙ্গে অন্য শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কাবুলে বিস্ফোরক ভর্তি জঙ্গিদের গাড়ি উড়িয়ে দিল মার্কিন সেনা
টিকাকরণ শুরু হলেও তা শিশুদের শরীরে এখনই প্রয়োগ করা হচ্ছে না। ১৮ বছরের উর্ধ্বে মানুষদের কেবল টিকার দুই ডোজ দেওয়া হচ্ছে। অদুর ভবিষ্যতে ১৮ বছরের কমবয়সীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সরকারি হিসেব অনুসারে মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৪ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ করোনার আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে এক লক্ষ ৩৭ হাজার জনের প্রাণ গিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ওই রাজ্যে গড়ে দৈনিক সাড়ে চার হাজার জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, রবিবার থেকে করোনা বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মূলত উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার কারণেই নিয়ম শিথিল করা হয়। আর তারপর থেকেই ভিড় দেখা গিয়েছে দেশের পশ্চিমের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রবিবার বিকেলের দিকে বহু মানুষ ভিড় জমান আরব সাগরের তীরে অবস্থিত মুম্বই শহরের মেরিন ড্রাইভে। মুখে মাস্ক থাকলেও শিকেয় উঠেছিল সামাজিক দূরত্বের বিধি।
আরও পড়ুন- চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত হিমন্তকে ‘সারদা’ খোঁচা তৃণমূলের
মেরিন ড্রাইন চত্বরে আসা এক ব্যক্তি বলেছেন, “মেরিন ড্রাইন প্রত্যেক মুম্বইবাসীর হৃদয়ের সঙ্গে জড়িত। মানুষ এখানে আসেন একটু শান্তির খোঁজে। করোনাকালে এখানে এসে সমুদ্রের পারে অনেক মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন।” রাতের দিকে ওই শহরের জুহু সৈকতেও দেখা গিয়েছে বহু মানুষের সমাগম। তবে তা মেরিন ড্রাইভের মতো মারাত্মক ছিল না।