গুয়াহাটি: কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন ত্রিপুরায় গিয়ে। মামলা দায়ের করা হয়েছে একাধিক ধারায়। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেড কার্পেট(Red Carpet)-এ স্বাগত জানানোর কথা বললেন বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বড় আশা জুগিয়েও বাংলায় পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফের পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপিকে বাংলায় রুখে দিয়ে এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে নজর দিয়েছে তৃণমূল। ঘাস ফুল শিবিরের নেতানেত্রীরা নিত্যদিন যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। অসমের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেত্রী সুস্মিতা দেব যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে গরহাজির CBI, প্রশ্নের মুখে নিরপেক্ষতা
অসম এবং ত্রিপুরা দুই রাজ্যেই রয়েছে বিজেপির সরকার। সেই সরকার উৎখাতের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। শনিবার দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সমগ্র দেশ থেকে বিজেপিকে মুছে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন অমিত শাহের প্রতি। একই সুর শোনা গিয়েছে দলনেত্রী মমতার গলায়।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা
পরের দিনেই পালটা জবাব দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির দাপুটে নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যিনি এক সময়ে ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে। পরে গায়ে গেরুয়া নামাবলী চাপিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেও শোনা গিয়েছে গান্ধীগিরির সুর। এই মুহূর্তে দেশে বিজেপির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে রেড কার্পেটে স্বাগত জানানোর কথা বলেছেন তিনি। হিমন্ত বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতো অসম-ত্রিপুরায় আসবেন ততই আমাদের ভালো হবে। আমাদের জনসমর্থন আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই কারণে আমরা তাঁকে(মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে) রেড কার্পেটে স্বাগত জানাব।”
আরও পড়ুন- রাম ছাড়া অযোধ্যা কিছুই না, রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে অসন্তুষ্ট বিরোধীরা
এরপরেই চেনা ছন্দে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ঠিক যেমন বঙ্গ বিজেপির নেতানেত্রীরা করে থাকেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “একই সঙ্গে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অসমে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িতে একটা পাথরও ছোঁড়া হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আদালত হিংসার তদন্তের জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে।”
সিবিআই দল। – ফাইল ছবি
অন্যদিকে, রবিবার বর্ধমানের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের জন্য গিয়েছিল সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল। হিংসার শিকার হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে ওই একই এলাকায় নির্বাচনী হিংসার শিকার হওয়া তৃণমূলকর্মীদের বাড়িতে যায়নি সিবিআই প্রতিনিধিদল।