চেন্নাই: সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও আপোস নয়। ভারতের মাটিতে থাকা জঙ্গিদের খতম করা হবে। প্রয়োজনে অন্য দেশে ঢুকেও জঙ্গিদের খতম করা হবে। রবিবার নাম না করে পাকিস্তানকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজনাথ। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের কাছে দুটি যুদ্ধে হারের পরেও আমাদের একটি প্রতিবেশী দেশ ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়াও অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ করে তারা সন্ত্রাসবাদে প্রত্যক্ষভাবে মদত দিচ্ছে।
ভারত-চীন সীমান্তের উত্তেজনা ইস্যুতেও মুখ খোলেন রাজনাথ। তাঁর কথায়, যখন চীনা বাহিনী ভারতের দিকে এগিয়ে আসছিল, আমি রাত ১১টায় সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলি….খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল। সেই পরিস্থিতিতেও আমাদের বাহিনী বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করেছিল। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রুর মুখোমুখি হতে পারি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসের মাধ্যমে গঠিত সাম্রাজ্য বেশিদিন টিকতে পারে না: মোদি
আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে ভারতীয় ফিরিয়ে আনলেও তালিবান ইস্যুতে কী অবস্থান নেওয়া হবে তা খোলসা করেনি কেন্দ্র। দিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তালিবান জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সেনা পাঠালে ফল মারাত্মক হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী তালিবান। আফগানিস্তান-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের কথায়, আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ভারতের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তাই কেন্দ্রীয় সরকার কৌশলে পরিবর্তন আনছে।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভারত প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছিল, বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করলে ভারত কখনই তাকে সমর্থন করবে না। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে আফগান জমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন তালিবান মুখপাত্র সুহেল সাহিন। কিন্তু অতীতের কথা মাথায় রেখে সেই আশ্বাসে বিশ্বাস করতে নারাজ ভারত। কারণ পূর্বে নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন থাকাকালীন কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী সমস্যার কথা কারও অজানা নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় সংবাদের মান ও সত্যতায় গুরুত্ব বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
আর তা যদি পুনরায় হয় তাহলে, আফগানিস্তান সমস্যা নয়াদিল্লির মাথাব্যাথার বিষয় হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তালিবান ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নিতে চাইছে মোদি সরকার। আপাতত উদ্ধারকাজেই জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজনাথের বক্তব্যেও পরিষ্কার, তালিবান ইস্যুতে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে চায় নয়াদিল্লি।