বেঙ্গালুরু: মাইসুরু ২২ বছরের তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধরা পড়ল পাঁচ জন৷ ধৃতদের মধ্যে ১৭ বছরের এক নাবালকও রয়েছে৷ তবে পলাতক এক অভিযুক্ত৷ তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷ শনিবার জানালেন কর্ণাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ৷
ধৃতরা সকলেই তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুর জেলার বাসিন্দা এবং পেশায় শ্রমিক৷ ডিজিপি প্রবীণ সুদ দাবি করেন, ধৃতদের মধ্যে এক নাবালকও রয়েছে৷ তার বয়স ১৭ বছর৷ সত্যি সে নাবালক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: কংগ্রেস আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে: বিজেপি মন্ত্রী
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে ১৫০ কিমি দূরে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে চামুন্ডেশ্বরী মন্দিরে বেড়াতে গিয়েছিলেন মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পাঠরতা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই যুবতী৷ মন্দিরটি মাইসুরু থেকে ১৩ কিমি দূরে চামুন্ডি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত৷ সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের কবলে পড়েন তাঁরা৷ যুবক-যুবতীকে দেখে টাকা-পয়সা চায় দুষ্কৃতীরা৷ টাকা দিতে অস্বীকার করায় ৬ যুবক মিলে ছেলেটিকে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ অন্যদিকে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ২ যুবক মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে৷
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছিল৷ ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও কেন অভিযুক্তদের ধরতে পারল না পুলিশ সে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ ডিজিপি প্রবীণ সুদ ঢিলেমির অভিযোগ উড়িয়ে দেন৷ বলেন, ‘ঘটনাটা খুব স্পর্শকাতর৷ তবে আমাদের কাছে সায়েন্টেফিক প্রমাণ রয়েছে৷’
ওদিকে হাসপাতালে গিয়ে এখনও মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করতে পারেনি পুলিশ৷ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানান, মেয়েটি এখনও ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি৷ এই পুলিশমন্ত্রী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, অত রাতে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি মেয়েটির৷ তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই পর্যন্ত নিন্দা করেন৷ চাপে পড়ে পুলিশমন্ত্রী ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন৷