লন্ডন: আফগানিস্তানে বেশিক্ষণ থাকা আর একটুও নিরাপদ নয়৷ বৃহস্পতিবার কাবুলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর সম্ভবত সেটা বুঝে গিয়েছে ব্রিটেন৷ তাই আফগানভূমি থেকে তাড়াতাড়ি পাত্তারি গোটাতে চায় তারা৷ শুক্রবার বরিস জনসন প্রশাসন জানিয়েছে, আর কয়েকঘণ্টার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর থেকে আফগান ও ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্ধার করার প্রক্রিয়া তারা শেষ করবে৷ এর পরই ব্রিটিশ বাহিনীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস স্কাই নিউজকে বলেন, আমরা উদ্ধারকার্যের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছি৷ পেপারওয়ার্ক প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এখন আটকে পড়া ব্রিটিশ নাগরিক এবং যাঁরা দেশ ছাড়ার জন্য আবেদন করেছেন তাঁদেরই কেবল উদ্ধার করা হবে৷ তিনি যদিও দাবি করেছেন, পূর্বপরিকল্পনা মাফিক সময়সীমা মেনেই ব্রিটিশ বাহিনী আফগানিস্তানে উদ্ধারকার্যে এগোচ্ছে৷ এর সঙ্গে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবারের ফিঁদায়ে হামলার কোনও যোগ নেই৷
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, বিমানের জরুরি অবতরণ, সুরক্ষিত যাত্রীর
ব্রিটেনে যেতে চাওয়া আফগানিস্তানের অনেক নাগরিক ব্যারন হোটেলের বাইরে ক্যাম্পে রোজ অপেক্ষায় করতেন৷ গতকালের হামলার পরই রাতে ওই ক্যাম্প বন্ধ করে দেয় ব্রিটিশ বাহিনী৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অ্যাবে গেট৷ এই গেট দিয়েই বিমানবন্দরের ভেতর ঢুকছেন দেশ ছাড়ার অনুমতি পাওয়া নাগরিকরা৷ ব্যারন হোটেলের বাইরের ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়ায় ব্রিটেন যাওয়ার সুযোগ হারাতে হতে পারে দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা আফগানদের৷
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর কাবুল বিমানবন্দরে ফের চালু হল যাত্রী বিমান পরিষেবা
১৫ অগস্ট তালিবানের হাতে কাবুলের পতনের পরই আফগানিস্তান থেকে বেরোতে চাওয়া বহু মানুষকে এয়ারলিফট করার কাজে আরও গতি এনেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী৷ পরিসংখ্যান বলছে, অগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৪ হাজার ব্রিটিশ ও আফগান নাগরিককে উদ্ধার করেছে বরিস জনসন প্রশাসন৷ এখন আরও ১০০-১৫০ জন ব্রিটিশ নাগরিক সেখানে রয়েছেন৷ বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন, ওদের মধ্যে কয়েকজন স্বেচ্ছায় কাবুল থাকতে চান৷