একে করোনা, তায় দোসর আংশিক বিধিনিষেধ। এর প্রভাবে পাহাড় থেকে মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা। চরম সমস্যায় রিসর্ট মালিক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। কোমর ভেঙে গেছে পর্যটন ব্যবসার। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অরণ্যসুন্দরী ডুয়ার্সও।
করোনার জেরে আংশিক বিধিনিষেধের আওতায় রয়েছে জঙ্গলও। নেই পর্যটক। বন্ধ হোটেল। সেই সঙ্গে বর্ষার কারণে প্রতিবছরের মতো এবছরও আগামী ১৬ জুন থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সমস্ত জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জঙ্গল বন্ধ থাকায় বিধিনিষেধ শিথিল হলেও পর্যটকরা আর ডুয়ার্সমুখী হবেন না এমনটাই মনে করছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল বন্ধ থাকার জন্য সমস্যায় পড়েছেন জিপসি চালক সহ রিসর্ট মালিকেরা। মূলত গরুমারা ও চাপরামারি জঙ্গলকে কেন্দ্র করে মূর্তি, ধুপঝোরা, চালসা, বাতাবাড়ি প্রভৃতি এলাকার পর্যটন ব্যবসা চলে।
এমনিতেই পর্যটকহীন ডুয়ার্স, তার ওপর টানা এই জঙ্গল বন্ধের জেরে ওই সমস্ত এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার চরম অবনতি হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বর্ষার তিন মাস চাপরামারি ও গরুমারা মেদলা নজর মিনার পর্যটকদের জন্য খোলা রাখার আবেদন জানানো হলো সোমবার। এদিন রিসর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা টুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গরুমারা নর্থ ও সাউথ রেঞ্জারকে ওই আবেদনের ভিত্তিতে লিখিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এদিনের এই স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র, সভাপতি তাজমল হক, সহ সম্পাদক শেখ জিয়াউর রহমান, জিপসি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সামিন আহমেদ ফিরদৌস, পরিচালক মজিদুল আলম প্রমুখ। সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, চাপরামারি ও মেদলা নজর মিনার দুটো মূল জঙ্গল থেকে অনেকেটাই বাইরে। তাছাড়া গত বছর বর্ষাতেও চাপরামারি নজর মিনার খোলা ছিল। তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না।বরং খোলা থাকলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনেক উপকার হবে বলেই অভিমত তাঁদের।