কাবুল: আফগানিস্তানে (Afghanistan) শান্তি স্থাপনই তাদের লক্ষ্য। ২০০১ সালের তালিবান আর ২০২১ সালের তালিবানের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। মতাদর্শ এবং বিশ্বাস এক থাকলেও, তাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে অনেক বদল ঘটেছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞ হয়েছেন তারা। কাবুল দখলের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করেছিলেন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করলেও তালিবানদের কর্মকাণ্ড বুঝিয়ে দিচ্ছে, তালিবান আছে তালিবানেই। মুখে যাই বলুক না কেন, আফগানিস্তানের নানা প্রান্তে তাণ্ডবের চিত্র প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা একটুও বদলায়নি। ২০০১ সালে প্রথমবার আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার পর তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের নির্দেশে তারা ধ্বংস করেছিল বামিয়ান বুদ্ধ। ২০ বছর পর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে গজনি প্রদেশের ঐতিহাসিক গজনি গেট ধ্বংস করল তালিবান।
কাবুল আর কান্দাহার জাতীয় সড়কের উপরে গুরুত্বপূর্ণ শহর এই গজনি। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখা গিয়েছে, ক্রেনের সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে আসরফ ঘনি সরকারের তৈরি করা ওই প্রবেশদ্বার। কয়েক মুহূর্তেই ভেঙে টুকরো হয়ে যাচ্ছে ইসলামি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক এই স্থাপত্যটি। কয়েক দিন আগেই বামিয়ানে হাজারা নেতা আবদুল আলি মাজারির মূর্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। ২০০১-তেও তালিবানরা দেশের বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নষ্ট করেছিল।
The gate of Ghazni province which was built for the glory of the civilization of the Islamic world was destroyed by the Taliban .@UN @UNICEF@UNAMAnews pic.twitter.com/YFIzyaYYxa
— 🇦🇫 𝘏𝘢𝘴𝘴𝘪𝘣 𝘏𝘢𝘪𝘥𝘢𝘳 (@hassib_haidar) August 23, 2021
১৫ অগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবানরা। তারপর দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে চরম অরাজগতা। আতঙ্কে আফগানিস্তান ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। পালাতে গিয়ে তালিবানের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। স্বাধীনতা দিবসে মিছিলেও অবাধে গুলি চালিয়েছে তালিবানরা। শত্রু খুঁজতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে জেহাদিরা। ‘বদলা নয়, বদল চাই’ এর কথা মুখে বললেও তালিবানরা ‘বদলা’ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। দু’দশক পেরিয়ে গেলেও তালিবানি তাণ্ডব একটুও কমেনি।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আফগানিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দখল নিল তালিবান