কাবুল: কুড়ি বছর আগের ঘটনা থেকে কী তালিবানরা শিক্ষা নিচ্ছে? বদলাচ্ছে নিজেদের রীতি-নীতি? এসব বিষয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র সংঘ৷ তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবানদের সংক্ষিপ্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার খবর ‘বিশ্বাসযোগ্য’। এই দাবি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের৷ তিনি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে আরও বলেছেন, মহিলাদের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং শিশু সৈনিক নিয়োগসহ অন্যান্য অধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গিয়েছে।
২০০১ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর আগে থেকে তালিবানরা ইসলামী আইনের(শরিয়া) কঠোর সংস্করণ অনুশীলন করেছিল। এরপর, রাজধানী কাবুল-সহ ১৫ অগস্ট তারা পুনরায় আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে৷ তারপর থেকেই তালিবানরা পোস্টার-ছবির মাধ্যমে মেয়েদের অধিকার এবং বাকস্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি বিষয়ে আরও সংযত করার চেষ্টা করছে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায়৷ কিন্তু, ক্ষমতা দখলের পর তালিবানরা মহিলাদের অধিকার রক্ষার কথা বললেও ‘সংযত’ হওয়ার কড়া বার্তাও যে দিচ্ছে তা সঠিক৷ এমনটাই জানিয়েছে, রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট৷
আরও পড়ুন- তালিবান প্রশ্নে চুপ কেন মুসলিম ল-বোর্ড, জাভেদের টুইটে তোলপাড় নেটপাড়া
মিশেল ব্যাচেলেট আরও বলেছেন, নারীর অধিকার “মৌলিক লাল রেখা” এবং তিনি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলিকে আফগানিস্তানে মানবাধিকার নির্দিষ্ট কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। যারা সর্বক্ষণ নজরদারি চালাবে৷
অন্য দিকে, চীনের জাতিসংঘের প্রতিনিধি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনীকে আফগানিস্তানে তাঁদের সময়কালে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
হাজার হাজার আফগান এখনও কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছেন৷ ৩১ অগস্টের আগে তাঁরা অন্য কোথাও উড়ে যাওয়ার আশা করছেন৷ যে তারিখটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকান সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার কথা বলেছেন৷ যদিও ব্রিটেন ও ফ্রান্স সরকার এই তারিখ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে৷
তবে, ব্রিটেন প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি বেন ওয়ালেস স্বীকার করেছেন বাইডেন সময়সীমা বাড়ানোতে রাজি নন৷ যদি তা দিন বাড়ানো হলে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান। তাই বেন ওয়ালেস সতর্ক করে বলেন, আমরা কোনও ভাবেই সকলকে সরাতে পারবো না৷