বর্ধমান: এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হল একজনের। বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসি পাড়া এলাকার ঘটনা। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হন অশোক মাঝি নামে এক ব্যক্তি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম। সোমবার থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসি পাড়া এলাকায়।মঙ্গলবারও সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বর্ধমান সদর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলছে। সোমবার গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে আক্রান্ত হন মণিকা মণ্ডল নামে এক তৃণমূল নেত্রী। আজ, মঙ্গলবার ফের একই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সহ তিন জন।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা
এদের মধ্যে এক মহিলা সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সন্ধ্যায় অশোক মাঝির মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম বলেন, পুরসভার কাজ সেরে ফেরার সময় খালাসি পাড়া এলাকায় শেখ ইমদাদুল সহ তাঁর লোকজন আমার উপর হামলা চালায়। রড, বাঁশ নিয়ে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর ঘোষ।