কাবুলঃ ২০০১ সালে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে উৎখাত করে পশ্চিমা বাহিনী। এবার ফের তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠা হল গোটা আফগানিস্তানে।তালিবান রাজে সন্ত্রস্ত আফগানবাসী। কিন্তু জানেন কি এই সম্পূর্ণ তালিবান গোষ্ঠীর সর্বেসর্বা কে? আফগানিস্তানের নির্মম অত্যাচার এবং নৃশংস উল্লাসের পিছনে কার হাত রয়েছে? বা পরবর্তীতে তালিবান শাসনের ক্ষমতার আসনে কে বসতে পারেন?
হায়বাতুল্লাহ আখন্দজাদা। হায়বাতুল্লাহ তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা তিনি। একইসঙ্গে ইসলামি আইনের পণ্ডিত। আফগানিস্তানের ইসলামিক মৌলবাদী রাজনৈতিক আন্দোলন তালিবানের প্রধান বা আমীর। আখন্দজাদা ১৯৬১ সালে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন । তালিবানের সাবেক প্রধান মোল্লা আখতার মানসুর মার্কিন চালকবিহীন ড্রোন বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর তাকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন কাবুল নিয়ে কোন পথে বেজিং
এই তালিবান গোষ্ঠীর রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামরিক যে কোনও কর্মকাণ্ডের ব্যাপারেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার। ২০১৬ সালে আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমের শহর কুচলাকের একটি মসজিদে নামাজ পড়াতেন আখন্দজাদা। ১৯৯৬ সালে আফগান তালিবানরা যখন রাজধানী কাবুল দখল করে ও তাদের আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে তখন মৌলবী আখন্দজাদা আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের শরিয়াহ আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। অন্যান্য তালিবান প্রধানদের মত তিনি যুদ্ধবাজ বা সামরিক কমান্ডার ছিলেন না কিন্তু ধর্মীয় নেতা হিসেবে তালিবানের অধিকাংশ ফতোয়া জারি করার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।ধারণা করা হয়, তার বয়স ৬০
আরও পড়ুন তালিবানের নজর থেকে ছাত্রীদের বাঁচাতে নথি পোড়ালেন কাবুলের একমাত্র গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সংবাদসংস্থার তরফে জানা গেছে আফগানিস্তানে পূর্ণাঙ্গ শাসন ক্ষমতা লাভের পর শাসন ব্যবস্থায় বদল আসতে পারে। তালিবান ক্ষমতার সর্বেসর্বা অর্থাৎ সুপ্রিম নেতার সিংহাসনে বসতে পারেন এই তালিবান নেতা।