ব্যরাকপুর: তালিবানের কাবুল দখল করার এক সপ্তাহের মাথায় রাখী পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে। ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সক্ষার্থে রাখী বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই ধারা মেনে প্রতি বছর রাখূন বন্ধন উৎসব পালন করে রাজ্যের শাসদকল তৃণমূল।
বর্তমানে আফগানিস্তানের প্রতিকূল পরিস্থিতির আবহে উদ্বিগ্ন সমগ্র বিশ্ব। ঘুম উড়েছে দীর্ঘ দিন ভারতে থাকা আফগানদের। এই অবস্থায় ওই সকল আফগানদের হাতে রাখী পড়িয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিল তৃণমূল। রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার দমদম এলাকায় রাখী বন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয় ঘাস ফুল শিবিরের পক্ষ থেকে।
সেই অনুষ্ঠানের পথচলতি বহু মানুষকে রাখী পরানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতেও বেঁধে দেওয়া হয় রাখী। ওই এলাকাতেই বেশ কয়েক পরিবার আফগান মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের হাতেও রাখী বেঁধে দেন উদ্যোক্তারা। রাখীর মধ্যে দলনেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ছিল। সেই সঙ্গে লেখা ছিল ‘দিল্লি চলো’। আগামী লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই স্লোগানকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।
রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হলেও রাখী বন্ধন অনুষ্ঠান ঘিরে দমদম এলাকায় উন্মাদনা দেখা যায় স্থানীয়দের। কারণ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ট্যাবলো নিয়ে মিছিল করেন রাখী বন্ধন উৎসবের উদ্যোক্তারা। ভারতীয় বোনের বেঁধে দেওয়া রাখীতে খুশি হয়েছে আফগান ভাইরাও।
আরও পড়ুন- সুরক্ষার স্বার্থে ছাত্রীদের নথি পোড়ালেন কাবুলের গার্লস স্কুলের প্রধান
অন্যদিকে, শনিবার ভারতীয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে আফগানিস্তান থেকে ১৬৮ জনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। যাদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক ছাড়াও ছিলেন বেশ কয়েকজন আফগান। বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় অবস্থিত হিন্দন জেলার সেনা ঘাঁটিতে।
আরও পড়ুন- আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করার নামে গ্রামবাসীর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, ধৃত যুবক
আফগানিস্তান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ সেল গঠন করা হয়। হেল্পলাইন নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ই-মেল পরিষেবা চালু করা হয়। সূত্রের খবর, গত পাঁচ দিনে ওই সেলের দফতরে ২০০০ ফোন কল এসেছে। ওই সেলে নিযুক্ত কর্মীরা ছয় হাজার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের উত্তর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১২০০ ই-মেলের জবাব দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই খবর প্রকাশ করেছে।