লখনউ: এক সপ্তাহের মধ্যে নিজের দেশটা যেন নরক হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভারতকে স্বর্গ বলে মনে করছেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা আফগানরা। সেই সঙ্গে এই প্রতিকূলত পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও নিজের জন্মভূমিতে ফিরতে নারাজ তাঁরা।
আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩ ফুটবলারের, আশঙ্কাজনক অনেকে
আফগানিস্তান থেকে ভারতীয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে আফগানিস্তান থেকে ১৬৮ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৩০০ জন আফগানকেও ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় অবস্থিত হিন্দন জেলার সেনা ঘাঁটিতে।
সেখানেই এক শিবিরে মেয়ে এবং দুই নাতনিকে নিয়ে রয়েছেন আফগান নাগরিক সাদিয়া। তাঁর নিজের বাড়িতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে তালিবান। ভারতে ফিরে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি। সাদিয়ার কথায়, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তালিবান আমাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় ভাইবোনেরা আমাদের উদ্ধার করেছে। আফগানিস্তান মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন- অচলাবস্থা কাটাতে তালিবানকে মেনে নিন, আবেদন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনির ভাইয়ের
কাবুল থেকে গাজিয়াবাদে আসা অপর এক আফগান নাগরিক বললেন, “আফগানিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। যখন তখন বিস্ফোরণ হচ্ছে, কোথাও আবার গুলি চালানো হচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে ভিড়ের মধ্যে গুলি চালানো হয়েছে। মানুষের মধ্যে তীব আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে থাকলাম।” ২০ বছর আগে তালিবান জমানার ভয়ানক অবস্থা দেখেছেন অনেকেই। সেই সকল ঘটনার স্মৃতিচারণ করেই জন্মভূমি ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন বহু আফগান।
তালিবান আফগানিস্তানের দখল নিতেই ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল কাবুলিওয়ালার দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াবে দিল্লি। গাজিয়াবাদে তেমন একাধিক অমুসলিম ব্যক্তি ফিরেছেন ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে। তেমনই এক শিখ ব্যক্তি বলেছেন, “আফগানিস্তানের অবস্থা নরকের থেকেও খারাপ। কোনও রকমে একটা গুরুদ্বারে প্রাণ হাতে নিয়ে লুকিয়ে ছিলাম। পরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে উঠলাম। নিজে এগিয়ে আমাদের সাহায্য করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।”