জলপাইগুড়ি: ভোলবদল দিলীপ ঘোষের৷ জন বার্লার রাজ্যভাগের দাবিকে সমর্থন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি৷ সেই দাবি জনদা তুলে ধরেছেন৷’ এর আগে জন বার্লার বাংলা ভাগের দাবিকে ব্যক্তিগত মত বলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ সেই তাঁর মুখে এমন কথা শুনে রাজনৈতিক মহল বলছে, ইউ টার্ন নিলেন দিলীপ ঘোষ৷
দলীয় কর্মসূচি শহীদ সম্মান যাত্রায় যোগ দিতে জলপাইগুড়ি গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি৷ জন বার্লার সামনেই তাঁকে রাজ্যভাগ নিয়ে প্রশ্ন করেন৷ জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি৷ তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করে আর থাকতে চাইছে না মানুষ৷ ৭৫ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি৷ সেই দাবি জনদা তুলে ধরেছেন৷’ তাঁর আরও সংযোজন, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল যদি পৃথক রাজ্য চায় তার দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
আরও পড়ুন: ঢালাও যোগদান নয়, বেনোজল ঠেকাতে উদ্যোগী তৃণমূল নেতৃত্ব
একুশের ভোটে তৃণমূলের কাছে গোহারা হওয়ার পর বিজেপি নেতারা বঙ্গভাগের দাবি তুলতে থাকে৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করে আলাদা রাজ্যের দাবি জানান আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা৷ অন্যদিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, জঙ্গলমহল এবং রাঢ়বঙ্গ নিয়েও আলাদা রাজ্যের দাবি জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ দুই সাংসদের দাবি ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে৷ সৌমিত্র ও জন বার্লার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় দায়ের হয় অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: জনস্বার্থ মামলা নিয়ে ‘লাফালাফি করবেন না’, দিলীপকে বার্তা ফিরহাদের
কিন্তু পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ বলেছিলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি থেকে সরছি না৷ এটা এখানকার মানুষের দাবি৷ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে যাব৷ দলের রাজ্য নেতাদেরও বোঝাব৷’ তখন দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত৷ দলের মত নয়৷