কলকাতা: ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় মিলেছিল কলকাতার এক প্রোমোটারের গলা কাটা মৃতদেহ৷ পুলিশ জানিয়েছিল, নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে৷ সেই ঘটনার তদন্তে কলকাতায় আসার কথা ছিল জামতাড়া পুলিশের৷ কিন্তু তার আগেই খুনের কিনারা করে ফেললেন লালবাজারের গোয়েন্দারা৷ প্রোমোটার খুনের ঘটনায় ধরা পড়েছে ২ জন৷
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত দুই জন হল আলতাফ আলম এবং নজরে আলম৷ এরা দু’জন ওই প্রোমোটারের বন্ধু ছিল৷ টাকা নিয়ে গোলমালের জেরে নিউ মার্কেটের তরুণ প্রোমোটার সইফ খানকে খুন করে৷ খুনের অস্ত্র এবং একটি গাড়ি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে৷ জেরায় দু’জনেই খুনের কথা কবুল করেছে৷
তিনদিন আগে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া মিহিজাম এলাকার একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল সইফ খানের গলাকাটা মৃতদেহ৷ মিহিজাম থানার পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নামে লালবাজার৷ তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারে, প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার পাশাপাশি সইফ খান সুদের কারবার চালাতেন৷ সেই কারণে ওই দু’জনকে ১৫ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন৷
আরও পড়ুন: হাওড়ায় বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে যুবকের দেহ উদ্ধার
কিন্তু ধারের চার লক্ষ টাকা ফেরত দিচ্ছিল না দুই বন্ধু৷ সেই নিয়ে তাঁদের মধ্যে চরম অশান্তি চলছিল৷ তখনই প্রোমোটারকে খুন করার পরিকল্পনা নেয় দু’জন৷ খুনের দিন সইফকে ডাকে তারা৷ তার পর বিয়ারের মধ্যে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল৷ সইফ ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন৷ তার পর একটি গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়খণ্ড৷ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ফেলে দেওয়া হয় সইফের মোবাইল৷
ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার মিহিজাম এলাকায় পৌঁছে সইফের গলা কেটে খুন করে তারা৷ এর পর দেহ জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়৷ দুই বন্ধু ভেবেছিল এখানে মৃতদেহ ফেলে চলে গেলে পুলিশ ভাববে কোনও দুষ্কৃতী গ্যাং অপরাধটি ঘটিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও লালবাজারের গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে পারল না খুনীরা৷
