হায়দরাবাদ: ফের আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। তালিবান শাসনে মহিলাদের প্রতিকূলতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র। এই নিয়েই মুখ খুলেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
বৃহস্পতিবার একটি সভায় হাজির ছিলেন আসাদুদ্দিন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর মুখে শোনা যায় তালিবান প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “রিপোর্ট অনুসারে, পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগেই ভারতে প্রতি নয় জনের মধ্যে একজন কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়। মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অত্যাচার এবং অপরাধ সংঘটিত হয় ভারতে। কিন্তু কেন্দ্র আফগানিস্তানের মহিলাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও প্রশ্ন, “মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কী ভারতে হচ্ছে না?”
এর আগেও তালিবানের দখলে গিয়েছিল আফগানিস্তান। ২০০১ সালে সেই তালিবান শাসন থেকে মুক্তি পায় কাবুলিওয়ালার দেশ। তালিবান পূর্ববর্তী জমানায় ওই দেশের মহিলাদের শিক্ষার স্বাধীনতা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ছিল। যা পরে খর্ব করা হয়। ধর্মীয় রীতি মানতে বাধ্য করা হয়। সেই সঙ্গে নিয়ম অবজ্ঞাকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- সোনিয়ার বৈঠকে নেতা কে হবেন তা সরিয়ে রেখে কোর কমিটি তৈরির কথা বললেন মমতা
আফগানিস্তানে ফের তালিবানের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সকল ভয়ানক স্মৃতি ফিরে আসছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। যা নিয়ে সমগ্র বিশ্বেই আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের মাটিতেও তালিবানের আফগানিস্তান দখল নিয়ে আলোচনা চলছে। যা নিয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন আসাদুদ্দিন। সেই সঙ্গে তুলে ধরেছেন পরিসংখ্যান।
তালিবানের আফগানিস্তান দখলের বড় প্রভাব আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পড়তে চলেছে। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এই বিষয়েও মন্তব্য করেছেন ওয়াইসি। তালিবানের আফগানিস্তান দখলের ফলে পাকিস্তান অনেক বেশি লাভবান হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘শত্রু’ খুঁজতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে তালিবান, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের
আসাদুদ্দিনের মতে, “আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার কারণে সবথেকে বেশি লাভবান হবে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আল-কায়েদা এবং দায়েশ জঙ্গিরা আফানিস্তানের অনেক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। ভারতের শত্রু হচ্ছে পাক গুপ্তচর আইএসআই। আর তালিবানকে নিয়ন্ত্রণ করে আইএসআই।”