উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষা। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি ঠিক কী তা খতিয়ে দেখতে বানারহাটের হাতিনালার পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনগ্রসর কল্যাণ বিভাগ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক।
প্রতি বছরই হাতিনালার জলে বানারহাট, বিন্নাগুরি সহ বেশ কিছু এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়। ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষের। সারা বছর শুকনোই থাকে হাতিনালা। সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ভুটান পাহাড় থেকে বয়ে আসা জল হাতিনালার দু’কূল ছাপিয়ে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে বছর দুয়েক আগে সরকারি উদ্যোগে হাতিনালার পাড় বাঁধাই করে দেওয়া হয়। এতে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, বলে দাবি সাধারণ মানুষের। এবার বর্ষার শুরুতে সেই হাতিনালা কী অবস্থায় রয়েছে তা শনিবার বিকেলে বানারহাটে এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন দুই মন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের বানারহাট ডিভিশনের এসডিও সুব্রত সুর, বানারহাটের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাস, ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। হাতিনালা ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন তাঁরা। খুব দ্রুত সেইসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দেন দুই মন্ত্রী।