১৯শে অগস্ট বড়ো পর্দায় মুক্তি পেল বিরসা দাসগুপ্ত (Birsa Dasgupta) পরিচালিত ‘মুখোশ’ (Mukhosh)। এই ছবিতে ডাকাবুকো পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে চান্দ্রেয়ী ঘোষকে (Chandreyee Ghosh)।কলকাতা টিভির সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অভিনেত্রীর কথায় উঠে এলো,বিরসা অর্থাৎ পরিচালকের সঙ্গে তার ছোটবেলার বন্ধুত্বের কথা,কেন এত দক্ষ অভিনেত্রী হওয়ার পরেও তাঁকে খুব বেশি সিনেমায় দেখা যায়না তার কথা।
পুলিশের ভূমিকায় চান্দ্রেয়ী
আসলে কি অন্তর থেকে তিনি শান্ত না ডাকাবুকো এই প্রশ্ন উঠতে তিনি বললেন ,একই সঙ্গে অনেকগুলি চরিত্র বিদ্যমান তার মধ্যে । অভিনেত্রী হিসেবে তিনি নিজেকে যথেষ্ট সৌভাগ্যবান মনে করেন কারণ বিভিন্ন পরিচালক তাকে প্রতিবার ভিন্ন চরিত্রের চ্যালেঞ্জের সামনে তুলে ধরেছেন। সেক্ষেত্রে বিরশা দাশগুপ্ত তার অনেক ছোটবেলার বন্ধু।এর আগে বিরশার সঙ্গে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও এত বড় পরিসরে কাজ এই প্রথম। পরিচালক হিসেবে বিরসার একটা মজার দিক প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী। শট্ শেষ করে হঠাৎ করে, পরিচালক এমন একটা কথা কানে কানে বলে দিয়ে চলে যান যা থেকে চরিত্রটা অন্য ভাবে ফুটিয়ে তোলার আরেকটি দিক খুলে যায়। ‘মুখোশ’ এ কাবেরী বোস চরিত্রটি পুরো চিত্রনাট্যে জুড়ে গাম্ভীর্য ও স্মার্টনেস ধরে রেখেছে তা নিঃসন্দেহে অভিনেত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন :ক্যামেরায় চোখ
অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মুখোশ পরতে ভালোবাসেন না, অবশ্যই তা যদি ‘মুখোশ’ ছবির বিষয়বস্তুর মতো যদি ‘মেক বিলিভে’র জগত বা করোনার ভয়ে ‘মুখোশ’ পরা না হয় তাহলে মুখোশ তার জীবনে প্রয়োজনীয় বিষয় নয়। অভিনেত্রীর কথায়, কেউ অকারণ মুখোশ পরে তো কেউ আবার পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে। মুখোশধারীদের চিনতে পারার প্রসঙ্গ উঠলে অভিনেত্রী জানালেন, জীবনের নানান ঘটনার মধ্যে দিয়ে তিনি এখন চিনতে শিখেছেন। তা বলতে গেলে একটা গোটা ঘটনা প্রবাহ বয়ে যাবে।
পরিচালক বিরসা দাসগুপ্তের সঙ্গে এটি অভিনেত্রীর দ্বিতীয় কাজ
অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ীকে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে বারংবার পাওয়া গেলেও খুব বেশি সংখ্যক ছবিতে বড় পর্দায় পাওয়া যায়নি। মেগা সিরিয়াল কি স্বেচ্ছায় বেছে নেওয়া জানতে চাওয়া হলো বলেন তিনি যেই সময়ে ধারাবাহিক বা ছোট পর্দায় কাজ শুরু করেছিলেন তখন নানা ধারার বিষয়বস্তু নিয়ে মেগা সিরিয়াল, শর্ট ফিল্ম, টেলিফিল্ম হতো।বেশ কিছু ছবির অফার তার কাছে এলেও তিনি তা গ্রহণযোগ্য মনে করেননি।সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব রয়েছে তার ওপর, তাই ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটির জন্য তিনি ছোটপর্দা বেছে নিয়েছেন। এমনকি এই কারণে আর কোন খারাপ লাগার নেই আজকে।
আরও পড়ুন :চরিত্রের জন্য সুস্মিতার ভোলবদল
একটি মজার র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশের নাম করে জিজ্ঞাসা করা তিনি তা কোন অভিনেতা-অভিনেত্রীর মুখে পরাতে চান। কুমীরের নাম উঠতেই তিনি বলেন এই মুখোশ তিনি নিজে পড়তে চান কারণ ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালে তিনি একবার কুমীরের মুখোশ পরেছিলেন। এরপর আসে ভাল্লুকের নাম। পাছে, কেউ কষ্ট পায় তাই এই নামটি এড়িয়ে গেলেন তিনি। কিন্তু চড়াই পাখির নাম উঠতেই, তিনি নতুন প্রজন্মের যে সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রী উঠে আসছেন তাদেরকেই চড়াই পাখির মত চঞ্চল ও প্রাণবন্ত বলে উল্লেখ করলেন।
আরও পড়ুন : বিয়ের প্রস্তুতি সারছেন কঙ্গনা