কলকাতা: কলকাতা টিভির প্রশ্নে ফের একবার অস্বস্তিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাত জোড় করে, পিছন ফিরে প্রশ্ন এড়ালেন তিনি। প্রশ্ন শুনে পিছন ফিরে দাঁড়ালেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে দল বিরোধী আইন নিয়ে মুকুল রায়ের সমালোচনা করেন শুভেন্দু।
বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। স্পিকারের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে হাজিরা দেননি মুকুল রায়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে তাঁর বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন:জাগো বাংলায় লিখে ‘শাস্তি’, অজন্তাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম
মঙ্গলবারই এই অভিযোগের তৃতীয় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। হাজির থাকার কথা ছিল মুকুল রায়েরও। কিন্তু তিনি নিজে না উপস্থিত থেকে চিঠি লিখে সময় চেয়ে নিয়েছেন। এই নিয়েই মুকুল রায়কে কটাক্ষ করছিলেন শুভেন্দু। তখনই এই প্রসঙ্গে কলকাতা টিভির প্রতিনিধির তরফে প্রশ্ন করা হয়, “শিশির অধিকারী দলত্যাগ করেও কীভাবে সাংসদ পদে বহাল রয়েছেন? দলত্যাগ বিরোধী আইন কেন তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হচ্ছে না ?”
এই প্রশ্ন শুনেই তাল কাটে শুভেন্দুর। রীতিমতো হাতজোড় করে মুখ ফিরিয়ে নেন। কলকাতা টিভির প্রশ্নের মুখে ফের একবার শুভেন্দুর অস্বস্তি সামনে আসে।
বেশ কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক নেই শিশির আধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের। দুজনকেই একাধিকবার বিজেপির প্রচার মঞ্চে দেখা গেছে এরপরেই এই দুজনের সাংসদপদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে একাধিকবার চিঠি দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সম্প্রতি মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যান সুনীল মন্ডল।
কিন্তু কয়েক মাস ধরে দলের কোনও কর্মসূচি, দিল্লিতে ধর্না-প্রতিবাদ কোথাওই দেখা যায়নি শিশির অধিকারীকে। বার বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কর্মসূচি এড়িয়ে যান তিনি। সেই প্রসঙ্গে শিশিরবাবুর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর কী না জানতে চাওয়া হয় কলকাতা টিভির প্রতিনিধির তরফে। বার বার প্রশ্ন করলে পিছন ঘুরে দাঁড়ান শুভেন্দু। কলকাতা টিভির প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি তিনি। কলকাতা টিভির প্রশ্ন আসতেই হাত জোড় করে বাঁচলেন।