কলকাতা: জামিন পেলেন মুচিপাড়া-কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোমবার বিকেলে ২০ হাজার টাকায় ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। তবে কোর্টের তরফে শর্তও রাখা হয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন সজলবাবুকে থানায় হাজিরা দিয়ে হবে। তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। নিম্ন আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্ট যাচ্ছেন সজল।
আরও পড়ুন: মুচিপাড়া কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের ২ দিনের পুলিশ হেফাজত
১ সেপ্টেম্বর আদালতেও হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। শনিবার সজলকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চায়। আদালত তা মানতে চায়নি। আদালত দু’দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। সোমবার পুনরায় বিজেপি নেতাকে আদালতে তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মুচিপাড়ার একটি ক্লাব ভাঙচুর ঘিরে তুলকালাম হয়ে ওঠে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ক্লাবে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন সজল ঘোষ। পালটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই ক্লাবের সদস্যরা মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করেছে। ইভটিজিং-এ জড়িত সকলে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের অনুগামী।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষ
এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। তৃণমূলের বক্তব্য, ক্লাবের সদস্যরা একটি দোকান ভাঙচুর করেছে। সেই কারণেই বিজেপির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সজল ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে লালবাজার সেন্ট্রল লক-আপে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। সজল ঘোষের স্ত্রী তানিয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন মুচিপাড়া থানায়। তাঁর অভিযোগ, সজল ঘোষকে গ্রেফতার করার সময় কোনও মহিলা পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন: ব্যাটেল ফিল্ড মুচিপাড়া থানা, সজল ঘোষকে লালবাজারে নিয়ে গেল পুলিশ
আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মুচিপাড়া এলাকার ‘মেনস বেঞ্চ ক্লাব’। ক্লাবের একাধিক সদস্যের অভিযোগ, কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মেনস বেঞ্চ ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছে। তাঁদের কয়েক জন আহত হয়েছেন।