ভোপাল: দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে দেশের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছে বিভিন্ন প্রান্তে। এরই মাঝে এই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরেই ছড়াল সাম্প্রদাইক উত্তেজনা। যার জেরে ছড়িয়ে পড়ল গোষ্ঠী সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন- রাজ্যে কমল দৈনিক সংক্রমন, কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও
ঘটনাটি বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের। ওই রাজ্যের ইন্দোরের তেজাজি নগরের কাবেরী মহল্লা নামক এলাকায় ঘটেছে ওই অঘটন। স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোওলনের পরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ওই এলাকায়। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই বিদ্বেষীমূলক মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। সেই মন্তব্য থেকেই ছড়ায় উত্তেজনা।
আরও পড়ুন- বিদেশীদের ঘরে ফেরাতে কাবুল বিমান বন্দর খোলা রাখার আশ্বাস ন্যাটো-র
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে ওই এলাকায় হিন্দু এবং মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ থাকেন। সেখানের বাসিন্দা প্রায় সকলেই দারিদ্রসীমার নিচের। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে। যাদের পিছনে বজরগ দলের হাত রয়েছে। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই অপর ধর্মাবলম্বীদের বিষয়ে কটুক্তি করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের দিন জুতো পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
তারপর থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীত বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব করতে শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে এরপরে দুই গোষ্ঠী একে অপরকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এমন সময়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বজরং দলের সদস্যরা। এরপরেই উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ সামাল দেওয়া গেলেও চাপা উত্তেজনা থেকেই যায়।
আরও পড়ুন- দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি, আসরে হামিদ কারজাই
দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সমএর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ সুপার আশুতোষ বাগরি। তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের তদন্ত চলছে। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”