কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার বিকেল ৫ টা বেজে ৫৯ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল হাইতি। রবিবার সকালে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, রবিবার সন্ধ্যেতে তা বেড়ে হল দ্বিগুন। দেশের সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৪। আহত ২৮০০ জন। মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন- দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি, আসরে হামিদ কারজাই
১১ বছর পর আবারও ২০১০-এর ভূমিকম্পের স্মৃতি ফিরল হাইতিতে। শনিবার আবারও তীব্র কম্পনে কেঁপে উঠল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটি৷ আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে শনিবারের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। ফলে এক মুহূর্তেই ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয় গোটা শহর। চলছে উদ্ধার কাজ। প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ইতিমধ্যেই হাইতিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
শনিবার ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল এতটাই বেশি ছিল যে ২০০ মাইল দূরে জামাইকাতে পর্যন্ত কম্পন অনুভব করা যায়। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেখানেও৷ ভূ-তত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, কম্পনের উৎসস্থল হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে পেটিট ট্রোউ দে নিপপসের ভূগর্ভের ১০ কিমি গভীরে৷
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন জঙ্গিনেতা বুরহানের বাবা
এই ভূমিকম্পের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের পেনিনসুলা৷ কম্পনের জেরে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, সরকারি ভবন, স্কুল। ভেঙে পড়েছে হাসপাতালও। স্থানীয় হাসপাতালগুলি আহতদের চিকিৎসা করছে। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর আহত ২৮০০ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪। এখনও নিখোঁজ বহু। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধার কাজ চলছে।
এর আগে ২০১০ সালের ভূমিকম্পের প্রচুর মানুষ নিহত হয়েছিলেন। প্রায় ৩ লক্ষের বেশি মানুষ জখম হয়েছিলেন। ঘরছাড়া হয়েছিলেন দু লক্ষ মানুষ। সেই বিপর্যয়ের ভয়াবহ স্মৃতি কাটতে না কাটতে আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতির মুখে পড়ল হাইতি।