বাঁধ সংস্কারে এবার হাত লাগালেন গ্রামবাসীরাই। সুন্দরবনের মিনাখাঁর কার্যকরী সভাপতি তাজউদ্দিন মোল্লা, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মাসুদ আলী মোল্লার উদ্যোগে শনিবার থেকে প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী বাঁধ মেরামতের কাজে নামলেন। বসিরহাট মহকুমায় মোট ৭৬২ কিলোমিটার নদীতে বাঁধ রয়েছে। প্রথমে যশ আর তারপর পূর্ণিমার ভরা কোটাল – জোড়া ধাক্কায় বিপর্যস্ত সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের চৈতল, মালঞ্চ, ঘুসিঘাটা, মোহনপুর ও চণ্ডীবাড়ি সহ একাধিক এলাকা। বিদ্যাধরী নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় ১০০০ ফুট নদী বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকেছিল বামুনপুকুর, ঘুসিঘাটা, নেরুলী, মালঞ্চ, হরিনুলা সহ একাধিক গ্রামে। এখনও বহু গ্রামে নোনা জল ঢুকে আছে। এর মধ্যেই শনিবার থেকে ১০০ দিনের কাজের মধ্যে দিয়ে মিনাখাঁ ব্লকের চৈতল গ্রামপঞ্চায়েতে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গেল। মিনাখাঁ ব্লকের কার্যকরী সভাপতি তাজউদ্দিন মোল্লা, মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মাসুদ আলী মোল্লা এবং মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিত দাস ও তপন হালদারের উদ্যোগে প্রায় ২০০০ মানুষ ১০০ দিনের কাজের দায়িত্ব পেয়ে নদী বাঁধ সংস্কারে নেমেছে। তাজউদ্দিন মোল্লা জানিয়েছেন, এতে একদিকে লকডাউনের সময়ে গ্রামবাসীদের কিছু কাজের সংস্থান যেমন হবে পাশাপাশি আগামী ২৬শে জুন ভরা কোটালে নদীর ভয়ানক জলোচ্ছ্বাস থেকে মিনাখাঁ ব্লকের একাধিক গ্রামকেও বাঁচানো সম্ভব হবে। মাটির বস্তা, বাঁশের পাইলিং, সিমেন্টের বস্তা ও প্লাস্টিক প্রভৃতি দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে। যেকোনো সময়ে জল বেড়ে আবার প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই শেষ মুহূর্তে বাঁধ সংস্কারের করতে আপ্রাণ চেষ্টায় নেমেছেন গ্রামবাসী থেকে প্রশাসন সহ সকলেই।