ফেরি চলাচল বন্ধ। মার খাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসা। পারাপার বন্ধ থাকায় বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ফেরি পরিষেবা চালুর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন দেশভাগের স্মরণে ‘বিভাজন বিভিষীকা স্মৃতি দিবস’ পালন করবে মোদি সরকার
ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার রাজমহল ঘাট থেকে মালদহের মানিকচক গঙ্গা ঘাটের মধ্যে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে। প্রতিদিন প্রায় ১০০ মালবাহী গাড়ি পারাপার করত এই ফেরি পরিষেবার মাধ্যমে। এছাড়াও দুই রাজ্যের মানুষ নিত্যদিনের প্রয়োজনে এই পরিষেবা ব্যবহার করেন।ঘটনার সূত্রপাত ওই ফেরি পরিষেবার বরাত দিতে অতিরিক্ত জেলা শাসক ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার ডাকেন। ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাত পায় মানিকচক গঙ্গার ঘাট সমবায় সমিতি। বরাতের শর্ত ছিল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই অর্থ ট্রেজারিতে জমা করতে হবে। কিন্তু সময় মতো জমা না দেওয়ায় বাতিল হয় সমবায়ের বরাত।
আরও পড়ুন কাবুলের অদূরে তালিবান, ভিডিও বার্তায় একজোট হয়ে লড়াইয়ের ডাক প্রেসিডেন্ট ঘানির
এরপরই বরাত পায় ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী বাচ্চু সিং। অভিযোগ মাত্র ৯৫ লক্ষ টাকায় তাকে বরাত দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান। ইতিমধ্যে ১ জানুয়ারি থেকে টেন্ডার বিতর্কে বন্ধ হয়ে যায় ফেরি পরিষেবা।বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুনতাজ আলি সহ বেশ কয়েকজনই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস আদালতে জানান, স্থানীয় মানুষেরা শুধু দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে শুধু তাই নয়, স্থানীয় ব্যবসার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই সুযোগেই অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করাছে নৌকা গুলি। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস।
আরও পড়ুন ৭৪ বছর পর ফিরেই চমক, আর্সেনালকে হারাল ব্রেন্টফোর্ড
উল্লেখ্য, বিগত বছরে মালদহের নৌকাডুবির ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এমনকি ট্রাক ডুবির ঘটনাও ঘটেছিল।ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চে এর মন্তব্য টেন্ডার ও জনস্বার্থ মামলা দুটি একসাথে শুনানি গ্রহণ করা হবে। না হলে এই সমস্যার সমাধান সূত্র সম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশ দুটি মামলা একসাথে শুনেই রায় দেবে হাইকোর্ট।