আগরতলা: মাঝমাঠে দাপিয়ে খেলেছেন। ভারতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেনও ছিলেন। এর আগে সংসদ ভবন চত্বরেও ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার আগরতলার হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে শেষে ফুটবল নিয়ে মেতে উঠতে দেখা গেল প্রসূনকে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা: ব্রাত্য
তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন তৃণমূলের আরও দুই সাংসদ, অর্পিতা ঘোষ এবং আবীররঞ্জন বিশ্বাস। ত্রিপুরার একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শান্তনু সেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ।
বৈঠকের পরেই ফুটবল নিয়ে কেরামতি দেখাতে শুরু করে দেন প্রসূন। ১৬ অগস্ট বাংলা ছাড়াও ত্রিপুরাতেও পালিত হবে খেলা হবে দিবস। সে দিন ত্রিপুরায় উপস্থিত থাকতে পারেন তৃণমূলের তিন ছাত্র যুব নেতা সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্ত। খেলা হবে দিবসের ঠিক দু’দিন আগে শনিবার কার্যত নেট প্র্যাকটিস সারলেন তৃণমূল সাংসদরা।
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সবাই প্লেয়ার। ২০২৩-এ খেলা দেখিয়ে দেব। এখানে আমরা নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করব।’ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘বাংলার মানুষ বিজেপিকে খেলা দেখিয়েছেন। এবার ত্রিপুরাবাসীও তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে খেলা দেখাবে।’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা পুলিশকে “মেরুদণ্ড” সোজা রেখে কাজ করার পরামর্শ তৃণমূলের
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বিপ্লব দেব সরকারকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘বাংলায় পর্যদস্তু হওয়ার পর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধমকিয়ে চমকিয়ে কোনও লাভ হবে না। ত্রিপুরাবাসীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ বিজেপি সরকার। ত্রিপুরার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবে তৃণমূল।’
তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘আমাদের মহিলারা ৮টা জেলায় কাজ করছে। মহিলাদের সশক্তিকরণ, ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী করেছেন, তা ত্রিপুরাবাসীকে বোঝাচ্ছে আমাদের মেয়েরা। পুলিশ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলকে ধমকে-চমকে কোনও লাভ হবে না।’