ডুয়ার্স : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম যে যার মত তুলতে হবে। একটা ফর্ম তুলে ১০ জন সেই ফর্মের একটা করে ফটোকপি করে নেবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই চলবে না। তাহলে সেই ফর্ম জমা নেওয়া হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে ডুয়ার্সের গয়েরকাটায় সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে একটি ফটোকপির দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম। এক একটি ফর্ম বিক্রি হচ্ছে ৫টাকা, ১০ টাকা এবং ১৫ টাকায়।
আরও পড়ুন : গরুমারা অভয়ারণ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত ১
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওরাও ফর্ম বিক্রির খবর শুনে বলেন, ”আমরা এই মাত্র জানতে পেরেছি যে বাইরের কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। যারা ফর্ম বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকেও বলব বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।” এদিকে ফর্ম ও রেসিডেন্সিয়াল শংসাপত্র নিতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেও ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। কোভিড বিধি ভুলে একে অপরের গা ঘেঁষে মাক্স ছাড়াই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। মুখে মাস্ক নেই কেন, প্রশ্ন করতেই অনেকেই মুখ লুকিয়ে গা ঢাকা দেন। তেমনি আবার ভুল হয়ে গিয়েছে বলেও অনকে জানান। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের গেটের সামনে চড়া দামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র বিক্রি হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পঞ্চায়েত প্রশাসনের ভূমিকা।
আরও পড়ুন : শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্ব, সঙ্গে থাকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
ফর্মের ফটোকপি কোনো কাজেই লাগবে না বলে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে জানিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই ফর্মে একটি ইউনিক নাম্বার থাকবে, সেই ফর্মই ফিলাপ করতে হবে। বাইরে থেকে ছাপিয়ে নিয়ে সেই ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেন বাইরে থেকে এই ফর্ম কেনা যাবে না বা এই ফর্মের জন্য কোন পয়সা লাগবে না। শুধু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম নয়, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী ফর্মেও থাকছে ইউনিক নম্বর। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বেআইনি ভাবে আবেদন পত্র বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।