নয়াদিল্লি: প্রবল বিতর্কের মাঝে শেষ হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সরকার তড়িঘড়ি বিল পাস করিয়েছে এবং বিরোধীদের কথা বলতে দেয়নি। এমনই অভিযোগ করেছে সকল অবিজেপি দলগুলি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখালেন বিরোধীরা। সংসদের বাইরে দিল্লির রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- পেগাসাস ইস্যুতে উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী সাংসদরা
বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন দুই আগে প্রকাশ্যে আসে পেগাসাস কেলেঙ্কারির খবর। দাবি করা হয় যে ওই ইজরায়েলি সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্রে। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের বাদল অধিবেশন। দুই কক্ষেই বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। পেগাসাস ছাড়াও কৃষি আইন এবং অন্যান্য নানাবিধ ইস্যু ছিল।
আরও পড়ুন- প্লাবিত উত্তরপ্রদেশে উদ্ধারকার্যে নামল NDRF
বিরোধীদের তাণ্ডবে সংসদের স্বাভাবিক কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সরকার। বিভিন্ন সময়ে মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সরকার বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেও পালটা জবাব দিয়েছে বিরোধী শিবির। তাঁদের বক্তব্য, সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আলোচনা ছাড়াই বিল পাস করানো হচ্ছে। যা সংবিধান এবং গণতন্ত্রের বিরোধী।
আরও পড়ুন- রাহুলের পর আরও ৫ কংগ্রেস শীর্ষ নেতার Twitter অ্যাকাউন্ট লক, প্রতিবাদ কংগ্রেসের
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে দিল্লির রাস্তায় মিছিল করে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব ওই মিছিল একাদিক অবিজেপি দলের সাংসদদের দেখা গিয়েছে। একদা বিজেপির জোট শরিক শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত অংশ নিয়েছিলেন ওই মিছিলে। সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত হয় ওই মিছিল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- রবিবার পর্যন্ত সর্তকতা উত্তরবঙ্গে, অন্যান্য জেলাতেও চলবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি
কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ তথা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেছেন, “সংসদে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। সংসদে কণ্ঠরোধ হচ্ছে বলেই এখানে(বিজয় চকে) সংবাদমাধ্যমের সামনে আমরা দাঁড়িয়েছি।” সেই সজ্ঞে রাহুল আরও বলেন, “সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে গেল। দেশের ৬০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিরা কোনও কথা বলতে পারলেন না। ৬০ শতাংশ মানুষের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া হল।”