কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ২০২০- ২১ সালে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পঠনরত বা উত্তীর্ণদের এখন ইন্টার্নশিপ বা চাকরি খুঁজতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অনলাইন ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। শুনতে হচ্ছে, অনলাইনে পড়াশোনা করেছ! হাতেকলমে কতটা কাজ শিখেছ? আর তাতেই চাকরির বদলে জুটছে তিরস্কার। কিন্তু এটা কি সত্যি তাঁদের কাম্য?
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করছে সৃজন সিনহা। তাঁর স্বপ্ন, সাফল্যে সঙ্গে দেশ-বিদেশের কোনও নামী ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবে। এরজন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্টানে ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদনও করে সে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁকে শুনতে হয়েছে, ২০২০-২১ – এর পড়ুয়ারা চাকরির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন না। কারণ জানতে চাইলে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং কখনও অনলাইনে পড়াশোনা করে শেখা যায় না। অনলাইনে রাস্তা, আবাসন ও সেতু নির্মাণ কখনই বাস্তব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রের রহস্য মৃত্যু
এছাড়া আরও তির্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছে সৃজনকে। শুধু তাই নয়, অনেক প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সময় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ২০২১-২১ সালের পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবেন না। করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনা সম্পূর্ণ রূপে অনলাইনে করতে হয়েছে পড়ুয়াদের। অনেক আবেদন করেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা যায়নি। এতে তাঁদের দোষ কোথায় ? প্রশ্ন তুলেছেন সৃজন। শুধু সৃজন নয়, তাঁর মতো অনেককেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাস্তব ক্ষেত্রে। অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শিক্ষা প্রতিষ্টানে অল্প সংখ্যক পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস চালু করলে এই ধরনের সমস্যা কিছুটা হলে মিটত বলে মনে করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৃজন সিনহা।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়া মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে: ব্রাত্য
১৯৭২ সালের ছায়াই যেন ফিরে এসেছে ২০২১ -এ। তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের আমলে প্রথম ‘গণ টোকাটুকি’ শব্দের আগমন ঘটে। সেই সময় স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের পরবর্তীতে চাকরির ইন্টারভিউতে নিয়োগকারী সংস্থার বাঁকা চাউনি ও তির্যক মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়েছে। লকডাউনের জেরে কি সেই ৭২ -এর ছায়া?