ফের পিছল রাজ কুন্দ্রার জামিন। ২০ অগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই থাকতে হবে শিল্পা শেট্টির ব্যবসায়ী স্বামীকে। মঙ্গলবার এমনই রায় দিল মুম্বইয়ের সেশন কোর্ট।
রাজের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পিছনে আদালতে বেশ কিছু কারণ দর্শিয়েছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারদের মতে, তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে মোটেই সাহায্য করছেন না রাজ। তার পাশাপাশি তদন্তে গতি আনতে পারে এমন কিছু সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা বাকি এখনও। রাজের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করাও বাকি, এমন পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে রাজের জামিন সম্ভব নয় বলেই রায় দিয়েছে মুম্বইয়ের সেশন কোর্ট।
আগে জানা গিয়েছিল নীল ছবির স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হটশটের সঙ্গে রাজ কুন্দ্রার কোম্পানির ব্যবসায়িক যোগাযোগ রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত উঠে আসা তথ্যে জানা যাচ্ছে শুধু ব্যবসায়িক যোগাযোগই নয়, লন্ডনের এক কোম্পানির মাধ্যমে হটশট অ্যাপটি চালাতেন রাজ। হটশটের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত রাজ কুন্দ্রার শালা, প্রদীপ বক্সি। এই মুহূর্তে তদন্তের জন্য প্রদীপ বক্সিকেও দরকার বলে মনে করছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ‘হীরামণ্ডি’-র গল্প
তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন রাজ প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত চলাকালীন তিনি জামিন পেয়ে গেলে সাক্ষীদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দিতে পারেন। পাশাপাশি বিদেশের নাগরিকত্ব রয়েছে রাজ কুন্দ্রার। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি যদি একবার বিদেশে পিঠটান দেন তবে তাঁকে দেশে ফেরানো দুষ্কর হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। আর তাই এই মুহূর্তে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল সেশন কোর্ট।
এখনও পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি বানানোর অভিযোগে রাজ কুন্দ্রা সহ ১১জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। এরা সকলেই মহিলাদের জোর করে নীল ছবিতে কাজ করতে বাধ্য করতেন। পরিবর্তে বলিউডে বা অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন।
আরও পড়ুন: রাম- প্রিয়ার নতুন সমীকরণ
রাজ-কুন্দ্রা কাণ্ডের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২০ অগস্ট। ওই দিনই বোঝা যাবে এই মামলায় রাজ জামিন পাবেন নাকি আরও বেশি দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে।