বারাসাত: ট্যাক্স না মেটালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া যাবে না৷ এই ঘোষণায় বহু মানুষ বকেয়া কর মিটিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করেছেন৷ কেউ কেউ ফিরেও গিয়েছেন৷ সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা৷ তৃণমূল শাসিত তিন গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক জায়গায়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি মঙ্গলবার সন্ধেয় জেলা প্রশাসনকে ময়দানে নামতে হয়৷
আরও পড়ুন- চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট, এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৮৬
সু্ত্রের খবর, এ দিন সকালে দেগঙ্গা এক গ্রাম পঞ্চায়েত ও নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বহু মানুষ কর মিটিয়ে লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম সংগ্রহ করেন৷ পরে একই ঘটনার খবর পাওয়া যায়, আমডাঙ্গার সাধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷
আরও পড়ুন- নির্বাসনের মুখে ভিনেশ ফোগট
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পেতে পঞ্চায়েতের কর মেটাতে হচ্ছে৷ টাকা পাওয়ার আগেই টাকা দিতে হচ্ছে৷ করোনাকালে আর্থিক সংকটের মধ্যে এমনটা হলে খুব সমস্যা৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে কর মেটানো যেত৷ কিন্তু, তা হল না৷
আরও পড়ুন- ভিডিও কলে নষ্ট হচ্ছে প্রাইভেসি? ব্যবহার করুন ভার্চুয়্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিরোধীরা কড়া সমালোচনা শুরু করে৷ বিরোধীদের কটাক্ষ, কাটমানি না দিলে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না৷ যদিও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধানদের বক্তব্য, এ রকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি৷ কে বা কারা নির্দেশ দিয়েছে তা তদন্ত করা হবে৷ জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে এরকম কোনও সরকারি নির্দেশ নেই৷ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আমডাঙ্গায় গিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে৷ আগামিদিনে ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷