যতদিন যাচ্ছে, ততই আরথ্রাইটিস বা বাতের সমস্যার কথা আকছার কানে আসছে। আগে সাধারণত বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্য বেশি দেখা যেত। চোট, জিনগত সমস্যা, সংক্রমণের কারণে এই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে খারাপ পাচনক্রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে আট থেকে আশি অনেককেই । বাতে সাধারণত শরীরের বিভিন্ন গিঁটে ব্যথা সৃষ্টি হয়। অবহেলায় তা বেড়ে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস হলে শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টের হাড় আস্তে আস্তে বেঁকে যেতে পারে। তীব্র যন্ত্রণার পাশাপাশি ব্যাঘাত ঘটে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়। অনেকেই মনে করেন খাবার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে এই সমস্যা। সেক্ষেত্রে বেশি নুন বা চিনি বা পিউরিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। যেমন-
ইনফ্লেমেটরি ফ্যাট এড়িয়ে চলুন
শরীরে যন্ত্রণা বাড়াতে পারে ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন তেল, ভুট্টা, সানফ্লাওয়ার অয়েল বা রান্নার তেল। বিভিন্ন ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মাংস, মাখন, চিজ ও ট্র্যান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার। এই ট্র্যান্স ফ্যাটের শরীরে ব্যাড কোলেস্টোরেল বাড়িয়ে দেয়।
চিনি না খাওয়াই ভাল
চা বা কফি যাঁরা প্রচুর পরিমাণে প্রসেস্ড চিনি খান তাঁদের আরথ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে তা আরও বাড়তে পারে। হার্টের সমস্যা তো বটেই, এ ছাড়া শরীরে ইনফ্লেমেশন ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগ শরীরে দানা বাঁধতে পারে। কোল্ডড্রিংকস, চা-কফিতে চিনি ও সকালের খাবারে সিরিয়ালস এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
টমেটো, বেগুন, আলু ও ক্যাপসিকাম খাবেন না
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই চারটে তরকারি বাদ দিয়ে দেখুন অনেকটাই আরাম পাবেন। এরে গিটে ব্যথা-সহ আথ্রাইটিসের অন্যান্য সমস্যার তীব্রতা অনেকটাই কমিয়ে রাখবে।
পিউরিনস
রেড মিট, বিয়ার, শুয়োরের মাংস বা সিফুড, এই খাবারগুলিতে প্রচুর মাত্রায় পিউরিন থাকে। পিউরিন যুক্ত খাবার খেলে পাচনক্রিয়ার সময় শরীর এই পিউরিনকে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত করে। ইউরিক অ্যাসিড রক্তে জমলে শরীরে গাউট বা গেঁটে বাতের সমস্যা দেখা দেয়।