কোভিডের আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। কিন্তু অতিমারির আতঙ্ক মন থেকে একেবারে মুছে যায়নি এখনও। করোনাভাইরাসের দৌরাত্ম্য যে ক্রমবর্ধমান। সঙ্গে রয়েছে ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়া। সব মিলিয়ে মাঝে মধ্যেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। আর মনমরা হলেই বারবার খেতে ইচ্ছে হয় অধিকাংশের। এই সময় জাঙ্ক ফুডের দিকেই হাত বাড়ান তাঁরা। কিন্তু এতে বিপদ আরও বাড়ে। বারবার খেতে ইচ্ছে করলে এমন কিছু খান যাতে মন ও পেট, শান্তি পাক দুটোই। আমাদের অতি পরিচিত কিছু খাবার আছে যেগুলোর বিশেষ উপাদান মন ভাল করে দিতে পারে এক নিমেষে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন অজানা নয় কারও। তাই মন খারাপের কারণ যাই থাকুক না কেন, এই পাঁচটি খাবার খেলে নিমেষে চাঙ্গা হবে মন।
বড় মাছ
রুই-কাতলা, স্যামন বা টুনার মতো বড় মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ডিপ্রেশন এবং মুড সুইঙ্গের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কে বিকাশের ক্ষেত্রেও এই ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যাঁরা মাছ খান না বা খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাবেন তিসির বীজে। তাই স্মুদি বা কাস্টার্ড বা ফ্রুট স্যালাডে এই বীজ ব্যবহার করতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট
চকোলেট খেতে আপনি ভালবাসলে তো কথাই নেই। মন খারাপ হলেই এক টুকরো ডার্ক চকোলট খেয়ে নিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্ক চকোলেটের উপাদানগুলি মন ভাল করতে খুবই কার্যকরী। এই উপাদানগুলির মধ্যে ফিল-গুড রাসায়নিক এনডরফিন ও সেরোটোনিন রয়েছে। এগুলি আমাদের মস্তিষ্কে ফিল-গুড ফ্যাক্টর বজায় রাখে। এর ফলে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
পাকা কলা
পাকা কলায় ভিটামিন বি রয়েছে যা ডোপামাইন ও সেরোটোনিন মতো রাসায়নিকগুলো আমাদের শরীরে নিঃসৃত করে। তাই পাকা কলা খেলেই নিমেষেই মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শরীরে শক্তির সঞ্চার হয় এবং নিজেকে তরতাজা মনে হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ও মুড ঠিক রাখতে পাকা কলা খুবই উপকারী।
বাদাম
বাড়িতেই হোক বা অফিসে, কাজের ফাঁকে মন খাই খাই করলে অল্প কয়েকটা বাদাম খেতে পারেন। মনের শান্তি তো বটেই, সুস্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারী বাদাম। এমনকি মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে অনেকর খিদে পায়। সেক্ষেত্রে জল খেতে পারেন। তবে জলে মন না ভরলে ভারী কিছু না খেয়ে বাদাম খেতে পারেন। যেমন কাঠবাদাম ও আমন্ড তো বটেই, এ ছাডা় হেজেলনাট বা চিনেবাদামও মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা কমাতে খুবই কাজ দেয় বিভিন্ন বাদাম।
ওটস
সকালের খাবারে ওটস থাকলে মন থেকে শরীর ভাল থাকে সবকিছুই। মুড বুস্টার্স হিসেবে ওটস বেশ কার্যকরী। সারাদিনের মতো শরীর চাঙ্গা রাখে। এ ছাড়া রাতের খাবারে ওটস খেলে ভাল ঘুমও হয়। অনেক সময় কম ঘুম বা ঘুমের ব্যঘাত ঘটলেও তার প্রভাব পড়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর।