সমুদ্র পথে বাণিজ্যে বাড়াতে সমস্ত বাধা দূর করতে হবে। আমাদের সমুদ্রের পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। প্লাস্টিকের বর্জ্যর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অতিরিক্ত মাছ ধরার বিরুদ্ধেও কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য সমুদ্র নিরাপত্তা বৃদ্ধি’ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হল ভারত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতা সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সদস্য দেশগুলির উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘মহাসাগর আমাদের যৌথ ঐতিহ্য। সমুদ্রের সুরক্ষায় ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। সমুদ্র পথে বাণিজ্যে বাড়াতে সমস্ত বাধা দূর করতে হবে।জলদস্যুদের থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যা মেটাতেও পদক্ষেপ করতে হবে। চিরকালই মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত। সামুদ্রিক মুক্ত বাণিজ্যে বাধা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ।’
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশ। তারা হল ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা ও চীন। তাছাড়া প্রতিবছরই ১০টি অস্থায়ী দেশকে সদস্য নির্বাচন করা হয়। সেই তালিকায় চলতি বছর যুক্ত হয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে মোট ১৫টি দেশ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করে থাকে। সেই রীতি অনুযায়ী এবার সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। সেপ্টেম্বরে ভারতের মেয়াদ শেষ হলে আবার অন্য কোনও দেশ এই সভাপতিত্ব অর্জন করবে।
Today PM @narendramodi chaired UNSC High Level Open Debate on "Enhancing Maritime Security-A Case for International Cooperation".#PMChairsUNSC#IndiainUNSC pic.twitter.com/Lfro0UzMVZ
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) August 9, 2021
রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। এই দৌড়ে রয়েছে ব্রাজিল, জার্মানি ও জাপান। প্রতিটি আঞ্চলিক শক্তিধর দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এই দাবি বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছে ভারত। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে চীনের উপস্থিতি ভারতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়ার মতো দেশগুলি ভারতের প্রতিনিধিত্বের সমর্থন জানালেও বারবার ভেটো দিচ্ছে চীন। আপাতত স্বল্প সময়ের এই সভাপতিত্বে ভারত কূটনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে কতটা কি অর্জন করতে পারে সেটাই দেখার।