নিম্নচাপ পরবর্তী সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। এই সুযোগেই চাষের জমিতে ঘাটি গেড়েছে বিষধর সাপেরা। গত ৪৮ ঘণ্টায় চাষের জমি থেকে উদ্ধার ৭ টি বিষধর সাপ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের শঙ্করপুর গ্রামের মেছোভেড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন প্লাস্টিক নয় ব্যবহার করতে হবে কাগজের পতাকা, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিম্নচাপের জেরে গ্রামের বিভিন্ন জায়গা এখনও জলমগ্ন। তাই সেই সুযোগেই বেড়েছে জমিতে সাপেদের আনাগোনা। রোজকার মতন চাষের জমিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ। এর পরেই তাঁর চোখে পড়ে বিশালাকার কালকেউটে সাপটি। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। তাঁরা এসে পৌঁছালে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
জমির বাদ বাকি স্থানে সন্ধান চালাতেই বনকর্মীদের চোখে পড়ে আরও তিনটি সাপ। সব মিলিয়ে সোমবার ঐ জমি থেকে উদ্ধার হয় ৪ টি সাপ । গতকাল একইরকম ভাবে পাশের আরেকটি গ্রামের চাষাবাদের জমি থেকে উদ্ধার হয় ৩ টি সাপ।
গত ৪৮ ঘণ্টায় বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়া রামজয় ঘেরি ন্যাজাট শংকরপুর মিনাখা সহ বসিরহাট তথা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে কিং কোবরা , শঙ্কচুর, কালকেউটে, লাউডগার, মতন ৭, টি নানান প্রজাতির বিষধর সাপ।শুধু মাত্র এই নয় গত দু’মাসে হাড়োয়া, মিনাখা, সন্দেশখালি গ্রাম থেকে মোট ৭৫,টি জীবন্ত সাপ উদ্ধার করেছে বনদপ্তর এর কর্মীরা।
আরও পড়ুন ঘরের ভেতর ঢুকে গেল ট্রাক, ঘুমের ঘোরেই চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু ৮ শ্রমিকের
এই বিষয়ে মিনাখাঁ ফরেস্ট অফিসার অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ইয়াস পরবর্তী বিপর্যয় নিম্নচাপের জেরে বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশাপাশি জঙ্গলে খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই কখনও রায়মঙ্গল, ইছামতি, কালিন্দী নদী পার হয়ে খাবারের সন্ধান ও বাসস্থানের খোঁজে লোকালয় বিষধর দের আনাগোনা বেড়েছে। কখনও মেছোভেড়ি, তো আবার কখনও চাষের জমিতে দেখা যাচ্ছে তাদের।সোমবার সাপ গুলোকে উদ্ধার করে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে বন দফতর। সাপ গুলির চিকিৎসা হয়ে গেলেই তাদের আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানানো হয় বনকর্মীদের তরফে।গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার সাপ উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্কত ছড়িয়েছে গ্রামে।
আরও পড়ুন স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর