ওয়েব ডেস্ক : ব্রিকসের (BRICS) সঙ্গে যে দেশগুলি যুক্ত থাকবে তাদের উপর বসানো হবে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর। সোমবার নিজস্ব সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে এমনটাই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি (Tariffs) যে আসলে জুলুম করার একটি হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা জানানো হয়েছে চীনের (China) তরফে।
ব্রাজিলে শুরু হয়েছে ব্রিকস সামিট। তাতে যোগ দিতে শনিবার রিও ডি জেনেরিও-র গ্যালিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁকে সেখানে রাজকীয়ভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। সেখানে তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সময় দক্ষিণ গোলার্ধের বিভিন্ন দেশের কথা উল্লেখ করেন। তবে এর পরই ব্রিকস সদস্যদের উপর নতুন করে শুল্কবোমা চালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজস্ব সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্প (Trump) লিখেছেন, “যে দেশ ব্রিকসের আমেরিকা-বিরোধী নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদের উপর অতিরিক্ত ১০% শুল্ক আরোপ করা হবে। এই নীতির কোনও ব্যতিক্রম হবে না। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!” তবে আমেরিকা বিরোধী নীতি বলতে ট্রাম্প ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা তিনি নিজস্ব সোশাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেননি।
আরও খবর : টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ৮২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৪১
তবে ট্রাম্পের এই শুল্কনীতিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে চীন (China)। এমনভাবে শুল্ক চাপানো যে কারোর জন্য ঠিক নয় তা জানিয়েছে শি জিনপিং-এর দেশ। সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, এই শুল্ককে জুলুম করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প (Trump)। তবে ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর অবশ্য ব্রিকসের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
একদিকে ব্রিকসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হল ভারত (India)। অন্যদিকে বর্তমানে আমারিকার (America) সঙ্গে বর্তমানে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তার ফলে ভারতের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন কিছুটা শুল্ক কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে এর মাঝে ব্রিকস-এর সদস্য দেশগুলির জন্য অতিরিক্ত কর বসানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প। যার তীব্র নিন্দা করেছে চীন (China)।
দেখুন অন্য খবর :