কলকাতা: কলেজ কর্তৃপক্ষের আস্কারাতেই মনোজিৎ মিত্রের বাড়বাড়ন্ত? মনোজিতের কলেজ ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণের খবর জেনেও চুপ ছিলেন কর্তৃপক্ষ? নাকি অদৃশ্য ক্ষমতার জন্য সব মাফ? মনোজিৎ মিশ্রকে কলেজের দায়িত্ব অফিশিয়ালি কলেজ কর্তৃপক্ষেরই দেওয়া, অফিস স্টাফ বলে উল্লেখ মনোজিৎকে! ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য কলেজের প্যাডে বিজ্ঞপ্তি জারি সাউথ কলকাতা ল কলেজের (South Calcutta Law College)। নিয়োগের বৈধতা নিয়েও বিস্তর রহস্য, সেখানে কীভাবে কলেজের অফিশিয়াল লেটার হেডে মনোজিৎকে এমন দায়িত্ব দিল কর্তৃপক্ষ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন (Kasba Incident)।
আরও পড়ুন: ফের মেট্রোয় যান্ত্রিক গোলযোগ! ব্যস্তসময়ে ব্যাহত পরিষেবা
কসবায় গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলিপুর আদালতে সে প্র্যাক্টিস করে। ৩১ বছর বয়সী মনোজিৎ বর্তমানে টিএমসিপির দক্ষিণ কলকাতা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দুই ধৃত জইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় কলেজেরই পড়ুয়া। কসবা কাণ্ডের (Kasba Incident) মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর (Kasba Case Main Accused Manojit Mishra) কু-কীর্তির প্রকাশ্যে। এবার কসবা কাণ্ডে মনোজিতের হুমকির অডিও ক্লিপ কলকাতা টিভির হাতে। শুধু তাই নয় কলেজের অস্থায়ী কর্মী হয়েও অফিসিয়াল গ্রুপ চালাত মনোজিৎ। কী করে এটা করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, যে অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে, তাতে শোনা যাচ্ছে রীতিমতো হুমকির সুরে মনোজিৎ বলছেন, আমরা সবার উপরে নজর রাখছি। সবাইকে চিহ্নিত করে রাখছি। গণধর্ষণের পর ওইদিন কাকে কাকে ফোন করেছিলেন মনোজিৎ? সেই সময় কী করছিল তারা? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তা জানতেই মূল অভিযুক্তের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ (Kolkata Police)। তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর কলেজ থেকেই মূল অভিযুক্ত তৃণমূলেরই প্রভাবশালী এক ছাত্রনেতাকে ফোন করেছিলেন। তারপর তাঁর বাড়িতেও যেতে চান মূল অভিযুক্ত। কিন্তু সেই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা রাজি হননি। এবার প্রশ্ন, এই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা কে? পুলিশ তদন্ত করে জানতে চাইছে, এই তিনজন তারপর কোথায় গিয়েছিল। তারা প্রমাণ লোপাটের কোনও চেষ্টা করেছিল কি না।
দেখুন আরও খবর: