ওয়েবডেস্ক- প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলা (32,000 Job cancellation cases primary) । বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী (Justice Tapobrata Chakraborty) এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের (Justice Ritabrata Kumar Mitra) ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হল। মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ১১ নম্বর কোর্টে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং এর সিরিয়াল নম্বর ১৫।
শিক্ষকদের একাংশের আইনজীবী বক্তব্য, স্পইরাল বাইন্ডিং এর তথ্য কি করে গ্রহণযোগ্যতা পেল? বোর্ড কিছু বাধা দেয়নি। ২০১৪ সালের টেটে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এস বসু রায় সংস্থার হাতে ওএমআর শিটের মূল্যায়নের দায়িত্ব ছিল। সমস্ত দুর্নীতি টেট সম্পর্কিত। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, দুটিই তো সম্পর্কিত।
আইনজীবী বলেন, যা শূন্যপদ ছিল তাঁর চেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু আমরা নিয়োগ খারিজ করার পক্ষে নই। তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতে দুর্নীতির জন্যই। আইন ছাড়াই ন্যায়বিচার এর প্রশ্ন থাকছে একক বেঞ্চের নির্দেশে। সকলের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল এটা কি করে বলা যায়।
আরও পড়ুন- রাজ্যের সব কলেজের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুম বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
বিচারপতি বলেন, কে সুবিধা পেয়েছে। কে পায়নি সেটা দেখব না। দুর্নীতি দেখলে পদক্ষেপ করব।
আইনজীবীর বক্তব্য, আবেদনকারীদের মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতেই মডিফিকেশন করা হয়েছিল। পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই (Hearing July 7) ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। ২০১৬ সালে তাদের মধ্যে ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। যেই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু ওই নিয়োগে একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে ২০২৩ সালে ১৬ মে কলকাতা হাইকোর্টে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা শিক্ষকেরা। এর পরে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। যদিও শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই এই মামলা ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
দেখুন আরও খবর-