কলকাতা: কসবা কাণ্ডের (Kasba Incident) মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর (Kasba Case Main Accused Manojit Mishra) কু-কীর্তির প্রকাশ্যে। এবার কসবা কাণ্ডে মনোজিতের হুমকির অডিও ক্লিপ কলকাতা টিভির হাতে। শুধু তাই নয় কলেজের অস্থায়ী কর্মী হয়েও অফিসিয়াল গ্রুপ চালাত মনোজিৎ। কী করে এটা করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে, তাতে শোনা যাচ্ছে রীতিমতো হুমকির সুরে মনোজিৎ বলছেন, আমরা সবার উপরে নজর রাখছি। সবাইকে চিহ্নিত করে রাখছি। গণধর্ষণের পর ওইদিন কাকে কাকে ফোন করেছিলেন মনোজিৎ? সেই সময় কী করছিল তারা? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তা জানতেই মূল অভিযুক্তের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ (Kolkata Police)। তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর কলেজ থেকেই মূল অভিযুক্ত তৃণমূলেরই প্রভাবশালী এক ছাত্রনেতাকে ফোন করেছিলেন। তারপর তাঁর বাড়িতেও যেতে চান মূল অভিযুক্ত। কিন্তু সেই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা রাজি হননি। এবার প্রশ্ন, এই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা কে? পুলিশ তদন্ত করে জানতে চাইছে, এই তিনজন তারপর কোথায় গিয়েছিল। তারা প্রমাণ লোপাটের কোনও চেষ্টা করেছিল কি না।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজের গভর্নিং বডির রেজিস্টার খাতা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মনোজিতের বিরুদ্ধে গভর্নিং বডিতে কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই গভর্নিং বডির সুপারিশেই কলেজে অস্থায়ী কর্মীর চাকরি পায় মনোজিৎ মিশ্র। মূল অভিযুক্ত একাধিকবার অন্যায় করেছেন, সে রেকর্ড পুলিশের কাছেও রয়েছে। সূত্রের খবর, কসবা ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে উঠে আসে একগুচ্ছ অভিযোগ। জেরই কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার সাত দিন পর এই পদক্ষেপ নেয় পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিল। মনোজিতের লাইসেন্স বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিল। আইনজীবী হিসেবে আর প্র্যাক্টিস করতে পারবেন না মনোজিৎ।
আরও পড়ুন: সায়েন্স সিটিতে BJP-র বর্ণাঢ্য শমীক-বরণ, কেমন আয়োজন?
এদিকে ধৃতদের ফোনকলের রেকর্ড খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এর থেকে জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল মনোজিৎ। জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন রাতে ফান রোড এলাকায় ওই ছাত্রনেতা মূল অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করেন। ২৫ জুন রাত এগারোটার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হাজরাতেই ছিলেন মূল অভিযুক্ত। তারপর বালিগঞ্জের ফার্ন রোডে হয়ে বিজন সেতু ক্রস করেই দেখা করেন সেই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে। কে সে, এই প্রশ্নই এখন সবার মনে। পুলিশ এখন বিজন সেতুর দুপারে রাস্তার ধারে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন গভীর রাত পর্যন্ত হাজরা মোড়েই তাঁর টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যাচ্ছে মনোজিতের। পরেরদিন সন্ধ্যায়, যখন তিনি গ্রেফতার হন, এই সময়ের মধ্যেও একাধিকবার একাধিক তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছেন মূল অভিযুক্ত।
অন্য খবর দেখুন