ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) সঙ্গে সংঘাতের মাঝে আমেরিকার চোখ রাঙানির সামনে মাথা নত করেনি ইরান (Iran)। বুক চিতিয়ে সমস্ত হামলার জবাব দিয়েছে খামেনির দেশ। ইরানের সাহস এবং ক্ষমতা দেখে অবাক হয়েছে প্রথম বিশ্বের একাধিক দেশ। তবে শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের অর্থনীতিতেও একটা বড় ভূমিকা পালন করে মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) এই দেশ। সেক্ষত্রে ইরানের মূল হাতিয়ার হল হরমুজ প্রণালী (Strait Of Hormuz)। সূত্রের খবর, এবার নিজেদের এই প্রাকৃতিক হাতিয়ারে শান দিতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইরান।
সম্প্রতি, আমেরিকার (USA) তরফে দাবি করা হয়েছে যে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে এবার জলের নীচে মাইন বসানোর পরিকল্পনা করছে ইরান। তাঁদের দাবি, বেশ কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি মাইন বসানোর যন্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়েছে ইরানি নৌ সেনার বেশ কয়েকটি জাহাজ। সেই থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে জলজ মাইন বসাতে চলেছে ইরান। যদিও এই বিষয়ে ইরানি সেনার তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: অতীতে ছিল, আজও আছে! জানুন সার্বিয়ান ভ্যাম্পায়ারের ‘অজানা’ ইতিহাস
কিন্তু এই হরমুজ প্রণালী কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ? আসলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানী তেল আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে বছরভর একটা বড় ভূমিকা পালন করে এই প্রণালী। সংযুক্ত উত্তরের পারস্য উপসাগর এবং এবং দক্ষিণের ওমান উপসাগরকে সংযুক্ত করে ৩৪ কিলোমিটার এই প্রণালী। সংকীর্ণ হলেও হরমুজ দিয়ে পেরোয় তাবড় তাবড় তেলের ট্যাঙ্কার। পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীর ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ ঘটে হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে, যার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইরানের হাতে।
এই সব কারণে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হলে বিশ্বের জ্বালানী তেল সরবরাহ থমকে যাবে। একইসঙ্গে পতন হবে শেয়ার বাজারে। পাশপাশি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি একধাক্কায় অনেকটা নীচে নেমে যাবে। তবে খাতায় কলমে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে পারে না ইরান। কিন্তু এই জলপথ নিয়ন্ত্রণে মাইন বসাতেই পারে। তা হলেও ইরানের এই পদক্ষেপে বিশ্বের একাধিক দেশ যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেখুন আরও খবর: