ওয়েব ডেস্ক: কহানি-২ চিত্রনাট্যে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খারিজ করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সুজয় ঘোষ (Sujoy Ghosh)। ‘কহানি-২: দুর্গা রানি সিং’ (Kahani 2: Durga Rani Singh) চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য অন্যের গল্প থেকে চুরি করা। এমন অভিযোগে ১৯৫৭ সালের কপিরাইট আইনের ৬৩ ধারা অনুযায়ী চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এবং পরিচালক সুজয় ঘোষের মামলায় বুধবার নোটিশ জারি বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের। অভিযোগকারী ছাড়াও নোটিস ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকারকে।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুজয়ের ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশে ছাড় দেয় শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মামলা খারিজের জন্য সুজয়ের আবেদন আগে খারিজ হয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে (Jharkhand High Court)।
আরও পড়ুন: দাগ ঢাকতে নতুন ‘সুখী’ ট্যাটু স্বস্তিকা
উমেশ প্রসাদ মেহতা হাজারিবাগের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, বিদ্যা বালান অভিনীত সিক্যুয়েল কহানি-২ আদতে তাঁর লেখা চিত্রনাট্য সবক থেকে চুরি করা। কারণ ফিল্ম প্রোডিউসার অর্গানাইজেশনে ওই চিত্রনাট্যটি রেজিস্টার করার স্বার্থে সুজয়ের সুপারিশ পাওয়ার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সবকের নথি তিনি অভিযুক্তের হাতে তুলে দেন। আর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওই চলচ্চিত্রটি রিলিজ হয়।
অন্যদিকে সুজয়ের বক্তব্য, চিত্রনাট্যটি তিনি লেখা শুরু করেন ২০১২ সালের নভেম্বরে। চূড়ান্ত চিত্রনাট্য স্ক্রিন রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনে নথিভুক্ত করেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। এমনকী অভিযোগকারীর সঙ্গে তাঁর কখনও দেখা হয়নি এবং চিত্রনাট্য গ্রহণ করেননি বলেও তিনি দাবি করেন।
কিন্তু বিস্তারিত ট্রায়াল বা শুনানি ছাড়া এই বিতর্কের ফয়সালা সম্ভব নয় অভিমত দিয়ে সুজয়ের আবেদন খারিজ করে ওই হাইকোর্ট। ম্যাজিস্ট্রেট যান্ত্রিকভাবে তাঁকে সমন পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে কোনও কিছুই খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি। দুটি চিত্রনাট্য পাশাপাশি ফেলে তুলনা করলেই অভিযোগের সত্যতা বোঝা যাবে। এছাড়া অভিযোগকারী তাঁর চিত্রনাট্য আদৌ আদালতে পেশ করেননি। এই প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ংকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। একজন সৎ চলচ্চিত্র নির্মাতাকে হেনস্থা করার এই প্রয়াস বাতিল হওয়া উচিত বলে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল সুজয়ের।
দেখুন অন্য খবর: