ওয়েব ডেস্ক: কর্মীদের (Employees) কাজের সময় নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ‘টেক জায়ান্ট’ ইনফোসিস (Infosys)। সীমার বাইরে কাজ করে স্বাস্থ্যের অযত্ন নয়, কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিল এই আইটি সংস্থা। কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অফিসের কাজ করলে সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হচ্ছে। যেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কাজের ভারসাম্য রক্ষার পরামর্শ থাকছে।
সম্প্রতি, জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইনফোসিস জানিয়েছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন, প্রতিদিন সর্বাধিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট কাজ করার নিয়ম চালু হয়েছে। অফিস হোক বা বাড়ি— যেখান থেকেই হোক না কেন, নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করলেই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। সপ্তাহে সর্বাধিক ৪৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট কাজের সীমা বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পরাক্রম, প্রতিরক্ষা সামগ্রী কিনতে চায় ব্রাজিল
ইনফোসিস-এর এই সিদ্ধান্তের খবর চাউর হওয়ার পরেই স্বাভাবিকভাবে আলোচনার কেন্দ্রে এনেছে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির (NR Narayana Murthy) সেই বিতর্কিত মন্তব্য— যেখানে তিনি ভারতের তরুণ প্রজন্মকে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, জার্মানি ও জাপানের মতো দেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানুষ দীর্ঘ সময় কাজ করে অর্থনৈতিক ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ভারতে উন্নয়নের জন্যও প্রয়োজন তেমনই কঠিন পরিশ্রম।
তবে ইনফোসিসের বর্তমান নীতি যেন কর্ণধারের সেই ভাবনার উল্টো দিকেই হাঁটছে। সংস্থার এক অভ্যন্তরীণ সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করার ফলে বহু কর্মীই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। অনেকেই পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না, যার প্রভাব পড়ছে কর্মদক্ষতায়ও। এই কারণেই অফিসে ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’ (Work Life Balance) বা কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: