ওয়েবডেস্ক- ২০২৫ সাল, রথযাত্রা (Rathyatra) ঘিরে বিশৃঙ্খলা থেকে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ওড়িশা (Odisha)। রবিবার ভোরে রক্তাক্ত হয়েছে পুরীর রথযাত্রা। গুচিণ্ডা মন্দিরের কাছে মন্দিরের কাছে শোভাযাত্রায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলা সহ তিনজনের, আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
এই ঘটনায় ওড়িশা সরকারের (Odisha Bjp Government) অযোগ্যতাকে দায়ী করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ।
রবিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়েক রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে ওড়িশার পুরীর গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে পদদলিত হওয়ার ঘটনা বিজেপি সরকারে প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ রথযাত্রা নিশ্চিন্ত করতে পারল না এই সরকার।
I extend my heartfelt condolences to the families of the three devotees who have lost their lives in the tragic stampede at Saradhabali, #Puri and I pray to Mahaprabhu Jagannatha for the swift recovery of the devotees injured in this devastating incident.
Today’s stampede,…
— Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) June 29, 2025
পট্টনায়েক এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, আমি এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ। আমি আমার অন্তর থেকে ওই ভক্তদের পরিবারের পাশে আছি। এই ভয়াবহ ঘটনায় আহত ভক্তদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য মহাপ্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করি। রথযাত্রার সময় ভিড় ব্যবস্থাপনার ভয়াবহ ব্যর্থতার ঠিক একদিন পর আজকের পদদলিত হওয়ার ঘটনা, যার ফলে শত শত মানুষ আহত হন, ভক্তদের জন্য শান্তিপূর্ণ উৎসব নিশ্চিত করতে অক্ষম সরকারের।
আরও পড়ুন- রক্তাক্ত পুরীর রথযাত্রা! হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩
ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি (Odisha Chief Minister Mohan Charan Majhi) গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “শারধাবলীতে মহাপ্রভুর এক ঝলক দেখার জন্য ভক্তদের তীব্র আগ্রহের কারণে, সংঘর্ষ এবং বিশৃঙ্খলার কারণে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ব্যক্তিগতভাবে, আমি এবং আমার সরকার সমস্ত জগন্নাথ ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। শারধাবালিতে যাদের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। মহাপ্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি তাদের এই গভীর শোক সহ্য করার শক্তি দেন। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে গুরুতর অবহেলার ফল বলে অভিহিত করে এটিকে “ক্ষমার যোগ্য নয়” বলে ঘোষণা করেছেন। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা ত্রুটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন বাসন্তী সাহু(বোলাগড়), প্রেমকান্ত মোহান্তি (বালিপটনা), প্রভাতী দাস (বালিপটনা)।
দেখুন আরও খবর-