কলকাতা: কসবা কাণ্ডে (Kasba Incident) গঠন হয়েছিল পাঁচ সদস্যের SIT টিম। এবার SIT-র সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৯। রবিবার সকালে সিল করা ক্রাইম সিন পরিদর্শন করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের তিন প্রতিনিধি।
এদিন কসবা কাণ্ডে (Kasba Case) নির্যাতিতার মা-বাবার গোপন জবানবন্দি নিতে চায় পুলিশ। রবিবার আলিপুর আদালতে আবেদনপত্র জমা দিল পুলিশ। ইতিপূর্বে, কলকাতা পুলিশ এসিপি প্রদীপ কুমার ঘোষালের তত্ত্বাবধানে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর বাবা-মার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য় আবেদন করেছেন তাঁরা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক প্রাক্তন ছাত্র, দু’জন কলেজের ছাত্র এবং একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র টিএমসিপির ছাত্রনেতা প্রাক্তন সেক্রেটারি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে ৫ সদস্যের সিট গঠন
প্রসঙ্গত, কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর নির্যাতিতা কসবা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। অভিযোগ, কসবার কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কলেজের ভিতরেই। মূল অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তনী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মীও।
গত ২৫ জুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। তা প্রত্যাখান করতেই যুবতীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তাঁকে এই ঘৃণ্য অপরাধে সাহায্য করেছিল কলেজেরই দুই পড়ুয়া। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে কলেজের সরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: