কলকাতা: কসবা ল কলেজের (Kasba’s Law College Incident ) তদন্তে সিট গঠন (Sit Form to Investigate Kasba Case) করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। কলকাতা পুলিশ এসিপি প্রদীপ কুমার ঘোষালের তত্ত্বাবধানে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর বাবা-মার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য় আবেদন করেছেন তাঁরা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক প্রাক্তন ছাত্র, দু’জন কলেজের ছাত্র এবং একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র টিএমসিপির ছাত্রনেতা প্রাক্তন সেক্রেটারি বলে জানা গেছে।
কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর নির্যাতিতা কসবা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। অভিযোগ, কসবার কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কলেজের ভিতরেই। মূল অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তনী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মীও। গত ২৫ জুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। তা প্রত্যাখান করতেই যুবতীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তাঁকে এই ঘৃণ্য অপরাধে সাহায্য করেছিল কলেজেরই দুই পড়ুয়া। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে কলেজের সরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে এবার ৪ সদস্যের টিম পাঠাচ্ছেন নড্ডা
ল কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে নিজস্ব অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। অন্য দিকে, কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল তৃণমূল। এই কমিটি বাংলায় এসে কী করবে, তা নিয়ে শনিবার প্রশ্ন তোলেন দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কসবাকাণ্ডে অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। বিজেপির এই ‘অনুসন্ধানের’ প্রয়োজনীয়তা কী?’’
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বিশেষজ্ঞরা। কলেজে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘর থেকে হকিস্টিক বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। এছাড়া কমন রুমে মিলেছে রক্তের দাগ। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ল’কলেজে ‘গণধর্ষণ’ এর অভিযোগের তদন্তে সাড়ে ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন দুপুর ৩.৩০ থেকে রাত ১০.৫০ পর্যন্ত CCTV ফুটেজ উদ্ধার করা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও