ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) চামনগরের এমএম হিলস অভয়ারণ্যে (Male Mahadeshwara Wildlife Sanctuary) এক দিনে পাঁচটি বাঘের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছিল বন দফতর। অবশেষে তদন্তের কিনারা করে তিন জনকে গ্রেফতার করল কর্নাটক পুলিশ (Karnataka Police)। একইসঙ্গে জানা গেল বাঘিনী এবং তার চার শাবকের রহস্যমৃত্যুর (Tiger Killed) কারণ। জানা গিয়েছে, প্রতিশোধ নিতে বিষ দিয়ে নির্মমভাবে শাবক সহ পাঁচটি বাঘকে মেরে ফেলা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে।
আসলে একটি গরুকে খেয়ে নেওয়ার ‘শাস্তি’ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড পেতে হল অভয়ারণ্যের সেই মা বাঘিনীকে। আর বাঘিনী ও তার শাবকদের নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তিন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। পুলিশ এবং বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তিন ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম মাদারাজু নামে এক ব্যক্তি। তাঁর পোষ্য গরুকে কিছুদিন আগে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে টেনে নিয়ে যায় একটি বাঘিনী। পরে গরুটির আধখাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। সেখান থেকেই তৈরি হয় প্রতিশোধের নীল-নকশা।
আরও পড়ুন: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নাজেহাল হিমাচলবাসী, ভূমিধসে মৃত বেড়ে ১৫
তদন্তকারীদের দাবি, মাদারাজু এবং তাঁর দুই সহযোগী ওই মৃত গরুর শরীরে বিষ মিশিয়ে দেন। পরিকল্পনামাফিক পরে বাঘিনী এবং তার চার শাবক আবার সেই মাংস খেতে আসে। বিষাক্ত মাংস খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে পাঁচটি বাঘ। পরে জঙ্গলের মধ্যে তাদের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে বন দফতর। হুজিয়াম ফরেস্ট রেঞ্জ জুড়ে শুরু হয় তদন্ত। মৃত বাঘগুলির দেহ পরীক্ষার পর বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলে। এরপর সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে গরুর দেহের দিকে। সেটির মাংস পরীক্ষার ফলেই সামনে আসে এই মর্মান্তিক ষড়যন্ত্রের তথ্য। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বন আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: