নয়াদিল্লি: জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগে (National Security Act) শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসিত হল মধ্যপ্রদেশ সরকার (MP Government)। প্রিভেন্টিভ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আইনের ছাত্রকে গ্রেফতারি আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)।
গত বছরের ২৪ জুন বেতুলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক প্রফেসরের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া ওই ছাত্রকে ১৯৮০ সালের ন্যাশনাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী আটক করা হয়। ২৪ বছরের ওই শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া ও বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রনের।
আরও পড়ুন: মিগের তাড়া খেয়ে পালাল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিমান!
আদালতের মন্তব্য, ওই আইনের তিনের দুই ধারার প্রয়োগ ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার এই ধারায় গ্রেফতার করতে পারে। সেই ব্যক্তি দ্বারা গণশৃঙ্খলা বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও এই ধারার প্রয়োগ হতে পারে। এ কথা উল্লেখ করে বেঞ্চ জানিয়েছে, যে কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা ওই আইনের তিনের দুই ধারা অনুযায়ী আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, খুনের চেষ্টা সহ অন্যান্য অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। ১৬ জুন আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। সংশোধনাগারে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে যুক্ত হয় জাতীয় সুরক্ষা আইনের ওই ধারা। বলা হয়, শান্তি ও আইনি শৃঙ্খলারক্ষার স্বার্থে তাকে আটক রাখা দরকার। এই নির্দেশ প্রতি তিন মাস অন্তর, মোট চার বার নিম্ন আদালত থেকে নবীকরণ করা হয়েছে। অন্য কোনও মামলায় প্রয়োজন না থাকলে ভোপালের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ।
দেখুন অন্য খবর: