ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইন (US Citizenship Act) সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না বিচারবিভাগ। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের (US Supreme Court) এই মন্তব্যে বিরাট স্বস্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন। অর্থাৎ, আমেরিকার মাটিতে জন্ম নিলেই যে মার্কিন নাগরিকত্ব মিলবে, সেই বিষয়ে এবার ইচ্ছেমতো আইন প্রণয়ন করতে পারবে সরকার। সেই কারণেই আদালতের এই রায়কে নিজের জয় বলেই আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বহুদিন ধরেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে অভিবাসন সমস্যার মূল কারণ হিসেবে দেখে আসছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরই তিনি এই আইন বাতিলের কথা জানান এবং এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেন। তবে সেই সময় ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল দেশের তিনটি আদালত। অবশেষে শুক্রবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ে এই বিতর্কে প্রশাসনের পক্ষে রায় দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ‘ড্যাডি’ ট্রাম্পকে নিশানা করে ইজরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে বলা হয়েছে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের উপরে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট চাইলে আইন সংস্কার করতে পারেন। পাশাপাশি আদালত এই রায়ে আরও জানায় যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করার বিষয়েও বিশেষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে মার্কিন প্রশাসন।
#WATCH | As US Supreme Court limits judges’ power to block birthright citizenship order, US President Donald Trump says, “It has been an amazing period of time, this last hour. There are people elated all over the country… In recent months, we have seen a handful of radical… pic.twitter.com/v6fYXy3jAe
— ANI (@ANI) June 27, 2025
আদালত এই রায় দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এটা আমার একটা দারুণ জয়। বিচারপতিদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার নতুন নীতি প্রণয়নের পথে এগোবেন তিনি। শুধু জন্মসূত্রেই নয়, অভিবাসী ও রূপান্তরিত নাগরিকদের দেশে প্রবেশেও আনা হবে কড়া নিয়ম। এমনকি, যাঁরা অর্থসাহায্যের মাধ্যমে এই অভিবাসীদের সহায়তা করেন, তাঁদের উপরেও থাকবে কড়া নজরদারি।
দেখুন আরও খবর: