কলকাতা: ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সংশোধনের কাজ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয় অবৈধ ভোটারদের বাদ দিয়ে তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সেই কারণে ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’ বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। যার বেশ কিছু নিয়মাবলি নিয়ে আপত্তি তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার দিঘা থেকেই এনিয়ে সরব হলেন তিনি। বললেন, ”ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে কমিশন একটা ফর্ম পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই ডিক্লারেশন ফর্মের কয়েকটি বিষয় আমার আপত্তি আছে। তাঁর দাবি, বিহার বাহানা, কমিশনের আসল নিশানা বাংলা।
কমিশন জানিয়েছে, নাগরিকত্বের সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া তালিকায় ভোটারদের নাম তোলা যাবে না। এ ছাড়াও ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল না, তাঁদের জন্মস্থানের প্রমাণ্য নথি জমা করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সকলকে ভারতীয় নাগরিকত্বের ‘সেল্ফ অ্যাটেস্টেট ডিক্লেরশন’ জমা দিতে হবে বলেও জানায় কমিশন। অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিতে ২২ বছর পর নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ভিনদেশি নাগরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিতেই কমিশনের এই পরিকল্পনা। আর এখানেই আপত্তি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর সংশয়, এসব তথ্য নিয়ে কি আসলে NRC-র পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার? এ প্রসঙ্গে জনতাকেও সতর্ক করেছেন মমতা।
আরও পড়ুন: NRC চালুর চেষ্টা চলছে? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
মমতার দাবি, বিহারের নাম করে কমিশন বাংলাকে নিশানা করতে চাইছে। কারণ বিহারে সরকারে বিজেপি। ওরা আসলে বাংলা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিশানা করছে। বিজেপি যা বলছে, কমিশন তা-ই করছে। ওরা আসলে ভয় পেয়েছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?” এহেন ডিক্লারেশন ফর্মের মাধ্যমে কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা না বলে নির্বাচন কমিশন কখনওই এটা করতে পারে না। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, আপনারাও বিষয়টি নজরে রাখুন। ফর্মে দেখে নিন ভালো করে। আপত্তিজনক কিছু মনে হলে তা করবেন না।
দেখুন ভিডিও